প্রবাস

যে কারণে বিদেশী শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করছে কুয়েত

অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য দুঃসংবাদ দিল মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েত। তারা আর অভিবাসী অধ্যুষিত দেশ হিসেবে থাকতে চায় না বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ সাবাহ আল খালিদ আল সাবাহ। এক ঘোষণায় তিনি জানিয়েছেন যে, সেখানে অভিবাসীর সংখ্যা কমিয়ে আনা হবে।

মোট জনসংখ্যার সর্বোচ্চ ৩০ ভাগ পর্যন্ত অভিবাসী রাখার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী। সাম্প্রতিক সময়ে দেশজুড়ে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়া এবং তেলের দাম কমে যাওয়ায় দেশটির অর্থনীতি ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়েছে।

দেশটিতে অভিবাসী কমিয়ে আনার এমন ঘোষণা অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য আতঙ্কের। কারণ বর্তমানে করোনার কারণে বিশ্বজুড়েই বড়ো ধরনের সংকট তৈরি হয়েছে। যারা নিজের দেশ ছেড়ে কাজের আশায় কুয়েতে পাড়ি জমিয়েছিলেন তারা এখন আতঙ্কে দিন কাটাবেন।

বর্তমানে দেশটিতে ৪৮ লাখ মানুষের বসবাস। এর মধ্যে অভিবাসীই রয়েছে ৩৪ লাখ। প্রধানমন্ত্রী খালিদ আল সাবাহ বলেছেন, এই ভারসাম্যহীন অবস্থার পরিবর্তন আনা দরকার।

এদিকে, সম্প্রতি কুয়েত সরকারের সাধারণ ক্ষমার সুযোগ না নেওয়ায় দেশটির আবাসন আইন লঙ্ঘনকারী বা আকামাবিহীন অবৈধ প্রায় ২৫ হাজার বাংলাদেশির ভাগ্য অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সামাজিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পদ্ধতিতে নিবন্ধিত ১ লাখ ২০ হাজার আকামাবিহীন অবৈধ প্রবাসীদের মধ্যে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকাসহ বিশ্বের মোট ১৫টি দেশের নাগরিক রয়েছেন। এ প্রবাসীরা ভিসা বা আকামা নবায়ন করতে পারবেন না বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 1 =

Back to top button