জাতীয় প্রস্তাবিত ২০২০-২১ বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। অপ্রদর্শিত সম্পদে নির্ধারিত হারে এবং অপ্রদর্শিত অর্থে ১০ শতাংশ কর প্রদান করলেই এ নিয়ে আর কোন পক্ষ প্রশ্ন করবে না-এমন প্রস্তাবনা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথপরিক্রমা’ শিরোনামে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটটি স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের প্রচলিত আইনে যা–ই থাকুক না কেন, ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের ১ জুলাই থেকে ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত আয়কর রিটার্নে অপ্রদর্শিত জমি, বিল্ডিং, ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্টের প্রতি বর্গমিটারের ওপর নির্দিষ্ট হারে এবং নগদ অর্থ, ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, সঞ্চয়পত্র, শেয়ার, বন্ড বা যেকোন সিকিউরিটিজের ওপর ১০ শতাংশ কর প্রদান করে আয়কর রিটার্নে প্রদর্শন করলে আয়কর কর্তৃপক্ষসহ অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ কোনো প্রশ্ন করতে পারবে না।’
এ ছাড়া একই সময় ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাগণ পুঁজিবাজারে অর্থ বিনিয়োগ করলে, ওই বিনিয়োগের ওপর ১০ শতাংশ কর প্রদান করলে, আয়করসহ কোনো কর্তৃপক্ষ প্রশ্ন করবে না।
প্রস্তাবিত এ বিধানগুলো কার্যকর হলে অর্থনীতির মূল স্রোতে অর্থপ্রবাহ বাড়ার পাশাপাশি সরকারের আয়কর রাজস্ব আহরণও বাড়বে। তাছাড়া এতে কর্মসংস্থানও বাড়বে বলে মনে করছেন অর্থমন্ত্রী।
করোনার এই মহামারীতে টিকে থাকা ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশায় ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথপরিক্রমা’ শিরোনামে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী।