প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেবে বিএনপি
ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তিসমূহের বিস্তারিত জানতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি দেবে বিএনপি।
শনিবার রাতে স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর দলের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ভারতে প্রধানমন্ত্রী যে চুক্তিগুলো সম্পাদন করে এসেছেন এই চুক্তিগুলো অবিলম্বে দেশবাসীর কাছে প্রকাশ করার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। আজকে আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি দেবো তথ্যগুলো জানানোর জন্য যে, কি ধরনের চুক্তি হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, একই সঙ্গে তথ্য অধিকার যে আইন আছে সেই আইনকে সামনে নিয়ে আমরা তথ্য কমিশনের কাছেও চিঠি দেবো–চুক্তির বিষয়গুলো জানার জন্য। কারণ আমরা মনে করি, এ চুক্তিগুলো সম্পর্কে দেশবাসীর মধ্যে অনেক জিজ্ঞাসা আছে, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে প্রশ্ন জড়িত হয়েছে। আপনারা জানেন যে, ফেনী নদীর পানি দেয়ার বিষয়ে যে চুক্তি হয়েছে তাতে আমাদের পানি দিতে কোনো আপত্তি নাই। কিন্তু আমাদের যে বড় সমস্যা তিস্তা নদীর পানি সদস্যা দীর্ঘকাল হয়ে গেল তার কোনো সমাধান হচ্ছে না।
খালেদা জিয়া তেমন অসুস্থ নন যে তাকে বিদেশে নিতে হবে- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ রকম বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রীর শারীরিক অবস্থা কেমন আছে- সেই অধিকার উনার নেই। কারণ উনি কি ডাক্তার? উনি ডাক্তার নন, তিনি রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটা বলছেন।
তিনি বলেন, আমরা বলছি যে, রাজনৈতিক দৃষ্টি থেকে বাইরে আসুন, মানবিক হোন। যেখানে দেশনেত্রী একেবারে সুস্থ অবস্থায় কারাগারে গেছেন হেঁটে। সেখানে তিনি এখন বিছানা থেকে নিজে উঠতে পারেন না। এটা বাস্তবতা। সেই কারণে আমরা বলি এ রকম মিথ্যা কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অর্থই হচ্ছে প্রকৃত সত্য থেকে দূরে রাখা। যে কথাটা আমরা আশঙ্কা করছি এভাবে দেশনেত্রীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়ার জন্য এই কাজগুলো তারা করছে। ওবায়দুল কাদের সাহেবের একথা বলায় আমরা একেবারে বিস্মিত হয়েছি। উনি যখন অসুস্থ ছিলেন তাকে আমরা হাসপাতালে দেখতে গেছি, তিনি বিদেশে গেছেন আমরা তার আশু মুক্তি কামনায় দোয়া করেছি।
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য সম্পর্কে বিএসএমএমইউর পরিচালকের বিবৃতি ‘অসত্য’ দাবি করে এর স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নিন্দা জানানো হয় বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।
ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ, তিনি প্রায় পঙ্গুত্বের শিকার হচ্ছেন। অলমোস্ট তিনি ক্রিটিক্যাল স্টেইজ। এখন তিনি নিজে কিছুই করতে পারেন না, তাকে সহযোগিতা করতে হয়। এ বিষয়টাকে কেন পিজি হাসপাতালের পরিচালক গোপন করেছে, তা বোধগম্য নয়। আমরা অবিলম্বে দেশনেত্রীর স্বাস্থ্যের সঠিক তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি।
বৈঠকে মহাসচিব ছাড়াও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।