অপরাধ ও দূর্ঘটনা

নাসিমের মৃত্যু নিয়ে ব্যঙ্গকারী প্রভাষকের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যু নিয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) বাংলা বিভাগের প্রভাষক মোছা. সিরাজাম মনিরার ব্যাঙ্গাত্মক স্ট্যাটাসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

স্থানীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ এতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। অভিযুক্তের শাস্তি নিশ্চিত করা না হলে কঠোর আন্দোলন ও মামলার হুমকিও দিয়েছেন তারা।

লাইফ সাপোর্টে থাকা সাবেক সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর অন্যতম সদস্য মো. নাসিম আজ ১৩ জুন মারা যান। তাঁর মৃত্যুকে নিয়েই ওই শিক্ষিকা তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে ব্যাঙ্গ করে ‘যোগ্য নেতৃত্বে দেশ নাসিম্যা মুক্ত হল’ লিখে পোস্ট দেন।

কিছুক্ষণের মধ্যেই বিষয়টি সবার কাছে জানাজানি হলে পরে তা ডিলিট করেন তিনি। কিন্তু ততক্ষণে পোস্টের স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধু পরিষদসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ পালটা স্ট্যাটাস দিয়ে অভিযুক্তের শাস্তির দাবি জানান।

বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া বলেন, বিগত সময়েও আমরা দেখেছি বামধারার রাজনীতির মিছিলে উনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছিলেন। জাতীয় চার নেতার একজন শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলীর সন্তান সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী। আর তাছাড়াও একজন মৃত ব্যক্তিকে নিয়ে এমন মন্তব্য কোনভাবেই কাম্য নয়। আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে এমন মন মানসিকতার একজন কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হন? বিশ্ববিদ্যালয়ে কি আর কোন মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলো না?

এ বিষয়ে  বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান নোবেল শেখ বলেন, করোনার পরিস্থিতি আর প্রিয় নেতার মৃত্যু সব মিলে সকলেই কঠিন মুহুর্ত পার করছে। এমন মুহুর্তে একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা হয়ে এমন স্ট্যাটাস দেওয়া খুবই দুঃখজনক। শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। বিশ্ববিদ্যালয় খুললে আমরা এর প্রতিবাদ করব। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের থেকে এই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।

এ বিষয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান বলেন,  এমন ব্যাঙ্গাত্মক কাজের জন্য তাকে শুধু শাস্তি নয় তাকে বিচারের আওতায় এনে অতিদ্রুত এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাকরিচ্যুত করার দাবি জানাচ্ছি। তার এই ধৃষ্টতার কারণে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার শাস্তির দাবী করছি। শুধু তাই নয় তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা করার সকল প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বলেন, তিনি বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষক নিয়োগ পাওয়ার পূর্বে থেকেই ক্যাম্পাসে সরকার বিরোধী কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তবুও তিনি কীভাবে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেলেন? এর দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এড়াতে পারে না।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষিকা সিরাজুম মুনিরাকে ফোন দিলে প্রথমে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি এবং ফোন কেটে দেন। এরপর থেকে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − 4 =

Back to top button