ইউনাইটেড হাসপাতালের অগ্নিকাণ্ডে চিকিৎসাধীন ৫ রোগী নিহতের ঘটনায় উক্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলার প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছে একাধিক তদন্ত কমিটি। এমন অবস্থায় হাসপাতালটির শীর্ষ চার কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বুধবার গনমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ।
উক্ত কর্মকর্তারা হলেন, প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. হাসান মাহমুদ রাজা, ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ফরিদুর রহমান খান, সিইও মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান এবং চিফ ক্লিনিক্যাল গভর্নেন্সের ডিরেক্টর ডা. আবু সাঈদ এমএম রহমান।
ডিসি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তের স্বার্থে ইউনাইটেডের চার কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
গত ২৭ মে রাতে ইউনাইটেডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসও একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। গত ১৪ জুন প্রতিবেদনগুলো আদালতে দাখিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। উভয় প্রতিবেদনেই অনুনোমদিত আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি ছাড়াও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা এবং গাফিলতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
গুলশান বিভাগের ডিসি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের কারণ এবং ওই এলাকায় অগ্নি নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা ছিল কি-না, রোগীদের উদ্ধারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নিয়েছিল এবং ওই সময় অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল মূলত এ বিষয়গুলো তদন্তে উঠে এসেছে।
এর পাশাপাশি গত ৩ জুন অগ্নিকাণ্ডের শিকার একজনের স্বজন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বিষয়গুলো উঠে এসেছে এবং যে দায়িত্বহীনতা বা গাফিলতির বিষয়গুলো এখানে নির্ধারিত হয়েছে সেই বিষয়গুলোর একটা প্রতিফলন অবশ্যই তদন্তে আসবে। তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখিত বিষয়সহ তদন্ত কর্মকর্তা বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো খতিয়ে দেখবেন বলেও জানান তিনি।
গত ২৭ মে রাতে ঢাকার গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য স্থাপিত অস্থায়ী আইসোলেশন ইউনিটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হলেও এর মধ্যেই চিকিৎসাধীন পাঁচ রোগীর মৃত্যু হয়।