ভারতের সাথে সংঘর্ষে সেনা মৃত্যুর কথা স্বীকার করল চীন
গত ১৫ই জুন পূর্ব লাদাখের সংঘর্ষে নিহতদের মধ্যে একজন চীনা কমান্ডিং অফিসারেরও মৃত্যু হয়েছে। গত সপ্তাহে গলওয়ানে ভারতের সঙ্গে সামরিক আলোচনার সময় চীন সেনাবাহিনী এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
তাছাড়া চীনের সরকারি মিডিয়া গ্লোবাল টাইমস চীনা সেনার মৃত্যু কথা নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা ও জিনিউজ।
১৯৬২ সাল থেকে অরুনাচল, সিকিম ও লাদাখ সীমান্তে প্রতিবেশী এই দুই দেশের সঙ্গে একাধিক সংঘর্ষ হয়েছে।
সর্বশেষ ১৫ জুন লাদাখে কোনো প্রকার গুলি বিনিময় ছাড়াই শারিরীক লড়াইয়ে ভারতের ২০ সেনা সদস্য নিহত হয়েছে। যদিও শুরুতে চীনের পক্ষ থেকে হতাহতের খবর জানানো হয়নি।
তবে অসমর্থিত সূত্রে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দাবি করছে চীনের ৪৩ সেনা নিহত হয়েছে।
এদিকে উত্তেজনার মধ্যেই সোমবার পূর্ব লাদাখে চুসুল সেক্টরে ফের বৈঠকে বসেন দুদেশের শীর্ষ সেনা কর্তারা। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে শুরু হয়ে বৈঠক চলে প্রায় ১১ ঘণ্টা।
ভারত জানিয়েছে, গত ৪ মের আগে পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। কোনো অনুপ্রবেশ হয়নি। সেই স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। নয়াদিল্লির আশঙ্কা, চীনা সেনা প্যাংগং লেক ও ফিঙ্গার ফোর থেকে এইট এলাকায় যে ভাবে স্থায়ী বাঙ্কার গড়তে শুরু করেছে, তাতে তারা সহজে ফিরে যাওয়ার জন্য আসেনি বলেই মনে হচ্ছে।
তবে সেই আশঙ্কা সত্যি করে ফিরে যাওয়ার প্রশ্নে নীরব থাকে চীন। উল্টে ভারতকে লাদাখ সীমান্ত থেকে সেনা সরানোর জন্য বৈঠকে চাপ দেয়া হয়।
ভারত পাল্টা জানায়, গলওয়ানের মতো সংঘর্ষের পরিস্থিতিতে ভবিষ্যতে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করবে সেনা, যা নিয়ে আপত্তি জানায় লাল ফৌজ।