রাত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে আঘাত হানতে পারে ‘বুলবুল’
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আজ শনিবার রাত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। তিনি আরো জানিয়েছেন, এরই মধ্যে নয়টি জেলা থেকে তিন লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শনিবার দুপুর ২টার মধ্যে আরো ১৫ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার কথা জানান তিনি।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুল এখন (দুপুর ১টা) বাগেরহাটের মোংলা থেকে ২৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। আজ শনিবার দুপুরে তিনি সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবিলায় আয়োজিত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী।
ব্রিফিংয়ে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, উপকূলীয় সাতটি জেলায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেওয়া হয়েছে। খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা ও পিরোজপুরের প্রায় তিন লাখ মানুষকে সরিয়ে আনা হয়েছে। দুপুরের মধ্যে আরো ১৫ লাখ মানুষকে সরিয়ে আনা হবে। তিনি আরো বলেন, এসব এলাকার মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে আসতে চায় না। জোর করে হলেও তাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হবে।
এনামুর রহমান বলেন, ‘উপদ্রুত এলাকাগুলোতে পাঁচ থেকে সাত ফিট জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। এরই মধ্যে এসব এলাকার প্রতি জেলায় দুই হাজার করে মোট ১৪ হাজার ব্যাগ শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে। যার একটি প্যাকেটের খাবারে একটি পরিবার এক সপ্তাহ চলতে পারবে।’
প্রতিমন্ত্রী জানান, এই সাত জেলার সঙ্গে নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলাকেও সতর্কতার মধ্যে আনা হয়েছে। তাদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। এসব এলাকায় ৯ নম্বর বিপদ সংকেত দেওয়া হয়েছে। এসব এলাকায় পাঁচ লাখ করে মোট ৩০ লাখ নগদ টাকা, ১০০ টন করে ৬০০ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
ডা. এনাম বলেন, উপদ্রুত ১৫ জেলায় এক লাখ টাকা করে গোখাদ্য বাবদ ও শিশু খাদ্যের জন্য এক লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল, তথ্য সচিব আবদুল মালেক, স্বাস্থ্য সচিব আসাদুল ইসলামসহ আবহাওয়া বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।