কুয়েতের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে নিজেকে নির্দোষ ও সৎ দাবি করেছেন আটক বাংলাদেশি সংসদ সদস্য শহীদুল ইসলাম পাপুল। উল্টো কুয়েতের কর্মকর্তাদেরই অসৎ দাবি করে বলেছেন, বিভিন্ন সময়ে ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে তাকে ঘুষ দিতে হয়েছে।
বৃহস্পতিবার কুয়েতের সংবাদ মাধ্যম আরব টাইমসের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কুয়েতের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার বিষয়ে পাপুল জানান, তার কোম্পানিতে ৯ হাজার কর্মী কাজ করে এবং কুয়েতে কাজ করার জন্য বৈধ আদেশ ও চুক্তি আছে। কিন্তু এরপরও কুয়েতের কিছু কর্মকর্তা বিভিন্ন সময় তার ব্যবসাকে আটকে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তাদের ঠেকানোর জন্যই তিনি ঘুষ দিয়েছেন।
পাপুল আরো বলেন, তার কোম্পানিতে যে ধরনের যন্ত্রপাতি আছে সেটি আর কোনো কোম্পানির কাছে নেই। তিনি সব সময় গুণগত মানসম্পন্ন সেবা প্রদান করেছেন। কিন্তু কুয়েতের কিছু কর্মকর্তাই মূল সমস্যা।
এদিকে প্রসিকিউটর অফিসের একটি সূত্র জানায়, এমপি পাপুলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সঙ্গে অনেক ব্যক্তি জড়িত। এদের সবার অপরাধ ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার জন্য অনেক সময়ের প্রয়োজন। তথ্য-প্রমাণ পাওয়ার পর অভিযুক্তদের নাম ফৌজদারি আদালতে পাঠানো হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৬ জুন মানবপাচার ও অর্থ পাচারের অভিযোগে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য কাজী পাপুলকে গ্রেফতার করে কুয়েতের সিআইডির সদস্যরা। গ্রেফতার করা হয়েছে তার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও তার ঘনিষ্ঠ হিসেবে মুর্তজা মামুনকে। পাপুলের বিরুদ্ধে আগামী ৬ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠনের কথা রয়েছে। অপরাধ প্রমাণিত হলে তার পাঁচ থেকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা হতে পারে। ইতিমধ্যে কাজী পাপুল ও তার কোম্পানির ব্যাংক হিসাবে থাকা প্রায় ১৩৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা জব্দ করা হয়েছে।