করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মারাত্মক ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও চট্টগ্রামে অনুমোদন পেয়েছে ৩টি স্থায়ীসহ ৭টি গরুর হাট।
আগামী কয়েকদিনের মধ্যে শুরু হবে এসব হাটে গরু বেচাকেনা। প্রয়োজন বিবেচনায় অনুমোদন পেতে পারে আরো কয়েকটি অস্থায়ী গরুর হাট। অথচ সংক্রমণ ঠেকাতে এই মুহূর্তে গরুর হাট থেকে সরে আসার কথা বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
করোনা সংক্রমণের মারাত্মক সময় পার করছে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। সংক্রমিত রোগীর দিক থেকে রাজধানী ঢাকার পর চট্টগ্রামের অবস্থান। ইতোমধ্যে সংক্রমণের সংখ্যা দশ হাজারের কাছাকাছি। আর মৃতের সংখ্যা ১৮০।
এ অবস্থায় নগরীতে স্থায়ী গরুর বাজার হিসেবে চিহ্নিত সাগরিকা, বিবিরহাট এবং মইজ্যারটেকের পাশাপাশি আরো চারটি অস্থায়ী গরুর হাটকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
সিএমপি কমিশনার মো. মাহবুবর রহমান জানান, আমরা সকলকে আহ্বান জানাবো এবং সিটি করপোরেশন যেনো পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক রাখে। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থাকবে।
বিগত বছরগুলোতে নগরীতে বৈধভাবে ১২টি গরু হাট বসলেও পাড়া-মহল্লা ভিত্তিক বাড়তি বাজার ছিলো ৫০টিরও বেশি। কিন্তু এবার করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিধি নিষেধ থাকায় অস্থায়ী হাটের সংখ্যা কমিয়ে আনা হচ্ছে বলে জানালেন সিটি মেয়র।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন জানান, আমরা কোরবানির হাটের প্রবেশমুখে বেষ্টনী দেবো। অস্থায়ী হাটগুলো এখনো চূড়ান্ত করিনি।
চট্টগ্রামে মূলত নাটোর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ থেকে গরু নিয়ে আসেন বেপারিরা।
সামনের দিনগুলোতে গরুর বাজারগুলো সংক্রমণের মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে বলে শঙ্কা সুশীল সমাজের। এ অবস্থায় গরু বাজারভিত্তিক বেশ কিছু নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
চট্টগ্রামের সিভিল ডা. শেখ ফজলে রাব্বি জানান, সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। ওখানে যে বর্জ্য হবে সেগুলোর ব্যবস্থা করতে হবে। উন্নতমানের যেসব স্বাস্থ্য সামগ্রী আছে সেগুলো সেখানে বিক্রির ব্যবস্থা থাকতে হবে।
নগরীর তিনটি স্থায়ী গরুর বাজারে প্রতিদিনই গরু-ছাগল বিক্রি হলেও অস্থায়ী বাজারগুলোর ইজারা প্রক্রিয়া শেষ হলেই পশু কেনাবেচা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা।