আন্তর্জাতিক

আয়া সোফিয়াকে মসজিদে রূপান্তর

ইস্তাম্বুলের খ্যাতনামা আয়া সোফিয়ায় ৮৬ বছর পর আজান দেওয়া হয়েছে। এর আগে সাবেক এই গির্জাকে জাদুঘরে পরিণত করা ঠিক ছিল না বলে রায় দিয়েছে তুর্কী আদালত। পরে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান এটিকে মসজিদ বানানোর আদেশে সই করেছেন। খ্রিস্টানদের জন্য এই দিনটিকে অত্যন্ত বেদনাদায়ক বলে মন্তব্য করেছেন তুর্কি আর্মেনিয়ান সাংসদ গারো পায়েলান।

আয়া সোফিয়ার স্ট্যাটাস পরিবর্তনের বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘আয়া সোফিয়াকে মসজিদে রূপান্তর করার সিদ্ধান্ত এখানকার খ্রিস্টানদের এবং ইউরোপের মুসলমানদের জীবনকে আরো কঠিন করে তুলবে।

তিনি আরো বলেন, ‘আয়া সোফিয়া ছিল আমাদের সমৃদ্ধ ইতিহাসের প্রতীক। এটির গম্বুজটি সবার জন্য যথেষ্ট বড় ছিল।

শুক্রবার তুরস্কের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক আদালত কাউন্সিল অব স্টেট’র রায়ে বলা হয়েছে, ‘মসজিদ হিসেবে ব্যবহার বন্ধ করে জাদুঘর হিসেবে ব্যবহারের যে সিদ্ধান্ত ১৯৩৪ সালে মন্ত্রিসভা নিয়েছিল তা আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।’ রায়ে বলা হয়, চুক্তি অনুযায়ী স্থাপনাটিকে মসজিদ হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হয় ফলে অন্যকিছু হিসেবে এর ব্যবহার আইনগতভাবে সম্ভব নয়।

ওই রায় ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যে আয়া সোফিয়াকে মসজিদে রুপান্তরের ঘোষণায় স্বাক্ষর করেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। টুইটারে ওই ঘোষণার প্রকাশ করে তিনি লিখেছেন, ‘এতে লাভও হতে পারে।’ প্রেসিডেন্টের ঘোষণার পর আয়া সোফিয়ায় প্রথমবারের মতো নামাজ আদায় করা হয়। তুরস্কের মূলধারার সবগুলো চ্যানেল ওই নামাজ সম্প্রচার করে। তবে সাংস্কৃতিক স্থাপনা আয়া সোফিয়ার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের চ্যানেলটি বর্তমানে বন্ধ রাখা হয়েছে।

তুরস্কের ইসলামপন্থীরা দীর্ঘদিন থেকেই আয়া সোফিয়াকে আবারও মসজিদে পরিণত করার দাবি করে আসছেন। তবে সেক্যুলার অনেকেই এর বিরোধিতা করছেন। বিশ্বের নানা প্রান্তের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতারাও এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − 11 =

Back to top button