ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় একটি ভেঙে যাওয়া ব্রিজে বাঁশ বেধে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষ পারাপার হচ্ছে। ভেঙে যাওয়া ব্রিজটি দীর্ঘদিনেও মেরামত না করায় এলাকাবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ এ ব্রিজটির একটি অংশ ভেঙে যাওয়া এবং বিকল্প কোনো পথ না থাকায় চরম ভোগান্তিতে রয়েছে ওই এলাকার মানুষ।
এ ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন কাঠালিয়া সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, পাইলট গালর্স স্কুল এন্ড কলেজ, সদর সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা, সরকারি তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া ডিগ্রি কলেজ, পশ্চিম আউরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা সদরের হাজার হাজার মানুষ পারাপার হচ্ছে।
সাবেক ইউপি মেম্বর আবদুস সালাম জানান, গত এক বছর পূর্বে উপজেলা সদরের পশ্চিম আউরা এলাকার আউরা-দক্ষিণ কৈখালী সড়কের মো. জাকির হোসেন কবির হাওলাদারের বাড়ির পূর্ব পাশের খালের আয়রন ব্রিজটির ওপর একটি ইটবাহী ট্রাক উঠলে ব্রিজের দক্ষিণ পাশের অংশ দেবে যায়। ফলে ব্রিজটি যানবাহন চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ব্রিজটি দেবে যাওয়ার কারণে ৪-৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থীসহ ৫ গ্রামের হাজারো মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানানো হলেও ব্রিজ মেরামতে কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায়, বাধ্য হয়েই এলাকাবাসী ব্রিজে বাঁশ বেঁধে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। এ ছাড়া এলাকা কৃষিনির্ভর হওয়ায়, উৎপাদিত সবজি নিয়ে ভাঙা ব্রিজের ওপর দিয়ে যাতায়াত করতে পারছে না।
পশ্চিম আউরা গ্রামের সংবাদকর্মী মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, ব্রিজটি মেরামত না হওয়ায় হাজারো মানুষের চলাচল ও শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় আসা-যাওয়া করতে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। প্রতিদিন এ ব্রিজ দিয়ে আউরা, দক্ষিণ কৈখালী চেচরী রামপুরসহ ৫-৭টি গ্রামের শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষের যাতায়াত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আকন্দ মোহাম্মদ ফয়সাল উদ্দীন বলেন, দেবে যাওয়া ব্রিজটির স্থান আমি পরিদর্শন করেছি। উপজেলা চেয়ারম্যান মো. এমাদুল হক মনির বলেন, আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্রিজটি নির্মাণ করা হবে।