করোনাকালীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা; সঠিকমানের পিপিই বানাচ্ছে আরমার হেলথ
বাংলাদেশে গোটা পৃথিবীর মতোই এখনো বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা, মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। কবে নাগাদ করোনাভাইরাসের প্রভাব থেকে মুক্ত হতে পারবে বাংলাদেশের মানুষ বা বিশ্ববাসী, তা সঠিক করে এখনো কেউ বলতে পারছে না। তাই সবাই চেষ্টা করছে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য। পূর্বের অর্থ্নীতি আবার সচল করার জন্য। এমন প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা করে কাজ করার উপর জোর দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ্যা।
পৃথিবীর সব দেশের মতো বাংলাদেশেও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য মানুষ পরছে পিপিই। বাংলাদেশে উৎপাদন করা পিপিই রপ্তানী হচ্ছে দেশের বাইরেও। বাংলাদেশের অন্যতম ওষুধ উৎপাদন ও রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ইতোমধ্যে ৬৫ লাখ পিস পিপিই রপ্তানী করেছে যুক্তরাষ্ট্রে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ইমারজেন্সি এজেন্সির (এফইএমএ) জন্য দেশটির পোশাকের ব্র্যান্ড হেইনস বাংলাদেশের বেক্সিমকোর কাছ থেকে ৬৫ লাখ পিপিই গাউন কিনছে। দেশের অভ্যন্তরে বিশ্বমানের এসব পিপিই মাস্ক, সার্জিক্যাল গাউন, নন সার্জিক্যাল গাউন, কভারল, হেড কভার, স্যু কভার উৎপাদন ও সরবরাহ করছে আরমার হেলথ ও ব্র্যান্ড পার্টনারিং প্রতিষ্ঠান রিওয়ার্ড্ ক্লাব।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন- চাহিদা বেশি থাকার কারণে বাংলাদেশে ফুটপাতে এখন পিপিই পাওয়া যায়। অনেকে অনলাইনে কম দামে বিক্রি করছেন পিপিই। মৌসুমী ব্যবসায়ীদের বিক্রি করা এসব মানহীন পিপিই পরার কারণে বাড়ছিল স্বাস্থ্য ঝুঁকি।
রেইনকোটের মতো অনেকে পিপিই তৈরি করছে এবং বিক্রি করছে। এতে বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি। মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমানোর জন্য অবশ্যই সঠিক মানের পিপিই।
আরমার হেলথ বাংলাদেশে সঠিক মানের পিপিই উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারলে মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি অনেকটা কমবে বলে আশা করা যায়।
আরমার হেলথ এর প্রধান নির্বাহী মশিউর রহমান সৌম্য জানান- সাধারণ মানের ‘পিপিই’ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকে মানুষকে রক্ষা করতে পারে না। বরং মানুষকে আক্রান্ত ও মৃত্যু ঝুঁকির দিকে ঠেলে দেয়। কোন ধরণের পিপিই বা মাস্ক, সার্জিক্যাল গাউন, নন সার্জিক্যাল গাউন, কভারল, হেড কভার, স্যু কভার করোনা ভাইরাস থেকে মানুষকে মুক্ত রাখবে, তার একটি গাইড লাইন আছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ্যার।
পিপিই কিভাবে পরতে হবে এবং পরার পর কিভাবে খুলতে হবে সে বিষয়েও নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ্যা। বাংলাদেশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ্যা, FDA, CE, এবং ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের গাইড লাইন মেনে মাস্ক, সার্জিক্যাল গা্উন, নন সার্জিক্যাল গাউন, কভারল, হেড কভার, স্যু কভার তৈরি করছে আরমার হেলথ। দেশের অভ্যন্তরে তা বাজারজাত করছে ব্র্যান্ড পার্টনারিং প্রতিষ্ঠান “রিওয়ার্ড ক্লাব”। (www.rewardclub.xyz)
করোনা আতঙ্ককে পুঁজি করে মানহীন পিপিই মাস্ক,গাউন তৈরি করছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এতদিন সঠিক মানের পিপিই বাজারে না থাকার কারণে মানুষ বাধ্য হয়ে কিনেছেন মানহীন পিপিই।
যেহেতু বাংলাদেশের বাজারে এখন সঠিক মানের পিপিই পাওয়া যাচ্ছে, তাই সচেতন মানুষ সঠিক মানের পিপিই সংগ্রহ করবেন বলে মনে করেন রিওয়ার্ড্ ক্লাব এর সমন্বয়কারী ফয়েজ রেজা। তিনি জানান- আরমার হেলথ এর প্রতিটি সুরক্ষা পণ্য একাধিক দেশ ও সংস্থ্যার মানদণ্ড মেনে তৈরি করা হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ ও করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত হওয়ার হার নিয়ন্ত্রণে বিশেষ অবদান রাখবে আরমার হেলথ এর তৈরি করা এসব সুরক্ষা পণ্য।
বাংলাদেশে এই প্রথম স্বাস্থ্য সুরক্ষা পণ্য যাচাই করে কেনার ব্যবস্থা রেখেছে আরমার হেলথ। বাংলাদেশে আরমার হেলথ এর প্রতিটি মাস্ক, সার্জিক্যাল গাউন, নন সার্জিক্যাল গাউন, কভারল, হেড কভার, স্যু কভার যাচাই করার জন্য মনিটর করছে ব্র্যান্ড ও ক্রেতার সুরক্ষা সমাধান “যাচাই” www.zachai.xyz/products।
যাচাই এর লীড হাদী ভূইঁয়া বলেন- “যাচাই” কমইঞ্জিনের একটি ট্রেডমার্কড ব্রান্ড । কমইঞ্জিন উদ্ভাবনের জন্য ২০১৯ এ বেসিস ন্যাশন্যাল আইসিটি এওয়ার্ড পেয়েছে। এবং ব্র্যান্ড ও ক্রেতাকে মোবাইল , ওয়েবে এবং পুরো সাপ্লাই চেইন এ পণ্য ট্র্যাক করতে সাহায্য করে । প্রতিটি পণ্যের উৎপাদন থেকে বিতরণ এর বিস্তারিত ওয়েবে বা মেসেজে যাচাই করা যাবে।