রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বল্প পরিসরে গরুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঈদুল আজহার ক্ষেত্রে পশুর হাট না বসানোর বিষয়টা অবাস্তব। অনলাইনে পশু বেচাকেনার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন স্থানে গরুর হাট বসবে।
গতকাল রোববার করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানীসহ চট্টগ্রাম, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে গরুর হাট না বসানোর সুপারিশ করে করোনা সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। এ সময় তারা অন্যান্য স্থানে হাট বসানো হলেও শহরের মধ্যে হাট না বসানোর সুপারিশ করে।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানীসহ চট্টগ্রাম, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে গরুর হাট না বসানোর সুপারিশ করে শনিবার এভাবেই সচেতন থাকার পরামর্শ দেয়া হয় করোনা মোকাবিলায় জাতীয় কারগরি পরামর্শক কমিটির পক্ষ থেকে। অন্যান্য স্থানে হাট বসানো হলেও শহরের মধ্যে হাট না বসানোর সুপারিশ করা হয়।
[৬] ডিএসসিসির একাধিক কর্মকর্তা জানান, গত দেড় মাস যাবত দক্ষিণে অস্থায়ী পশুর হাটের টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু এ সময়কালে জাতীয় কারগরি পরামর্শক কমিটি কোন মতামত দেয়নি। এদিকে পরামর্শক কমিটির সুপারিশ উপেক্ষা করে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে স্বল্প পরিসরে গরুর হাট বসানোর সিদ্ধান্তের কথা জানান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। [৭] এ ব্যাপারে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. এমদাদুল হক বলেন, আমরা পাঁচটি অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ৭৫টি ওয়ার্ডের জন্য ৫টি মাত্র হাট। এছাড়াও ডেমরা এলাকায় বসবাস করে প্রায় ৫০ লাখ লোক বসবাস করে। ইতোপূর্বে হাট বসানোর সিদ্ধান্ত ছিলো না। কিন্তু আজ হাট বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। [৮] ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন জানান, আজকের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ডিএসসিসি এলাকায় এবার পাঁচটি অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাকিগুলোর দরপত্র অনুযায়ী ১৯ তারিখ শেষ সময়। এরপর বাকি হাটগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাকি হাটগুলো বসার সম্ভাবনা অনেকাংশেই কম, তবে এ বিষয়ে পরে সভা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। [৯] ডিএসসিসি সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ডিএসসিসি এলাকায় ১৪টি অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। কিন্তু এর মধ্যে তিনটি হাট ইজারা নিতে কেউ দরপত্র জমা দেয়নি। এছাড়া দুটিতে সরকারি দরের চেয়ে কম মূল্যে দরপত্র জমা পড়েছে, যে কারণে পুনরায় দরপত্র আহ্বান করা হয়। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদআরও খবর পেতে দেখুনঃ ভাইরাল নিউজ – ইতিহাসের ডায়েরী
Latest Breaking, Latest Breaking