বিবিধ

শিক্ষাজীবনে মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন ডা. সাবরিনা

করোনার নমুনা পরীক্ষা না করে ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা। তিনি বরাবরই জেকেজির সাথে কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই দাবি করে আসছিলেন। কিন্তু এরই মধ্যে একে একে বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য।

সূত্র মতে, ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ১৯৯৩ সালে এসএসসি ও পরে এইচএসসি পাস করেন সাবরিনা আরিফ। এরপর এমবিবিএস পাস করেন সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ থেকে। সাবরিনা ২৭তম বিসিএসে স্বাস্থ্য ক্যাডারের চাকরি পাওয়ার পর তার প্রথম পোস্টিং হয় দিনাজপুরে। পরে বদলি হয়ে আসেন ঢাকা মেডিকেল কলেজে। সেখান থেকে যোগ দেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে।

সাবরিনার গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরে। তার বাবা সাবেক সচিব সৈয়দ মোশাররফ হোসেন। তিনি ঢাকার শ্যামলীর পিসি কালচার রোডের নিজ বাড়িতে বসবাস করেন। তার দুই মেয়ের মধ্যে ডা. সাবরিনা বড়। সাবরিনার প্রথম স্বামীর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, তিনি টেলিফোন সেবা সংক্রান্ত একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা।

ডা. সাবরিনা চৌধুরী দ্বিতীয় বিয়ে করার পর বেপরোয়া হয়ে উঠেন। গ্রেপ্তারের পর সাবরিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এমন তথ্যই পেয়েছেন তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সূত্র বলছে, আরিফের সঙ্গে বিয়ের পর বেপরোয়া হয়ে ওঠেন সাবরিনা। ওভাল গ্রুপের সিও আরিফের চতুর্থ স্ত্রী এই নারী চিকিৎসক। তারা দু’জনে দেশে-বিদেশে ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ও ঠিকাদারি কাজ পেতে নানামুখী তদবির করেন সাবরিনা।

এক্ষেত্রে সাবরিনা বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)-এর কয়েকজন নেতাকে কাজে লাগান বলেও অভিযোগ রয়েছে।

জানা যায়, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করে আসা ডা. সাবরিনা আরিফুল গ্রেপ্তার হওয়ার পর করোনা সনদ জালিয়াতির সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি সামনে আসার পরই স্বামীকে তড়িঘড়ি তালাক নোটিস পাঠান।

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূলত সাবরিনার হাত ধরেই করোনার স্যাম্পল কালেকশনের কাজটি ভাগিয়ে নেয় অনেকটা অখ্যাত জেকেজি নামে এই প্রতিষ্ঠান। প্রথমে তিতুমীর কলেজে মাঠে স্যাম্পল কালেকশন বুথ স্থাপনের অনুমতি মিললেও প্রভাব খাটিয়ে ঢাকার অন্য এলাকা এবং অনেক জেলা থেকেও নমুনা সংগ্রহ করছিলেন তারা।

তবে স্বামী-স্ত্রী মিলে করোনা টেস্ট করলেও তাদের দাম্পত্য জীবন সুখের নয়। স্ত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের এক চিকিৎসককে মারধর করেন আরিফ চৌধুরী। পরে এ ঘটনায় স্বামীর বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় জিডি করেন ডা. সাবরিনা।

সুত্র বাংলাদেশ জার্নাল

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × five =

Back to top button