করোনার এই প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই সম্প্রতি যশোর-৬ ও বগুড়া-১ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি নিয়ে আগে থেকেই দুশ্চিন্তায় ছিল নির্বাচন কমিশন।
কারণ নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ এমনিতেই তলানিতে, উপরন্তু মহামারির কারণে মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। তবে ভোট বিশ্লেষণে দেখা গেছে, যশোর-৬ আসনে ভোট পড়েছে ৬৩.৫ শতাংশ! যা অবাক করেছে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদেরকেও।
যশোর উপনির্বাচনের রিটার্নি কর্মকর্তা হুময়ুন কবির বলেন, সত্যি কথা বলতে কি, আমি নিজেও এত ভোটার উপস্থিতির কথা ভাবিনি। মহামারির মধ্যে মানুষ ভোট দিতে আসবে না, এমন একটা আশঙ্কা ছিল আমাদের। সেই আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে ভোটাররা তাদের অধিকার প্রয়োগ করেছেন। আমি মনে করি, এই উপনির্বাচনের আমরা সফল হয়েছি। পর্যাপ্ত ভোটার তো ছিলই, কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনাও ঘটেনি।
ভোট বিশ্লেষণে দেখা যায়, যশোর-৬ আসনের ২ লাখ ৩ হাজার ভোটারের মধ্যে ১ লাখ ২৯ হাজার ৬৭ জনের ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহীন চাকলাদার পেয়েছেন ১ লাখ ২৪ হাজার ভোট। এছাড়া বিএনপির প্রার্থী পেয়েছেন ২ হাজার ১২ ভোট এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী পেয়েছেন ১ হাজার ৬৭৮ ভোট। করোনার মধ্যে উপনির্বাচন সম্পন্ন করা নিয়ে অনেকেই নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করেছেন। ভোটার আসবে না বলে সতর্কও করেছিলেন। কিন্তু তেমন কিছু না হওয়ায় আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে কমিশন। নির্বাচন কমিশনের ভাষ্য, ভোটাররা তাদের ওপর বিশ্বাসের মূল্য দিয়েছে।