বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নকল এন-৯৫ মাস্ক সরবারহের অভিযোগ উঠেছে। গত ১৮ জুলাই হাসপাতলটিতে সরবরাহ করা এন-৯৫ মাস্কের লেবেলে বানান ভুল থাকায় এ অভিযোগ করেছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।
নকল বলে অভিযোগ করার কারণ হিসেবে চিকিৎসকেরা বলছেন, যে কোম্পানির মাস্ক বলে সরবরাহ করা হয়েছে এরা এসব বানান ভুল করতেই পারে না। এটা স্পষ্ট যে যারা এ মাস্ক তৈরি করে সরবরাহ করেছে তারা ইংরেজীতে একেবারেই কাঁচা। এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমেণের পর থেকেই দেশে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টি বেশ আলোচিত। এ অভিযোগে সিএমএসডি’র পরিচালককে বদলী করে দেয়া হয়েছে। হাসপাতালে নকল সুরক্ষা সামগ্রী দেয়ার অভিযোগ করলে রাজধানীর মুগদা ও খুলনা হাসপাতালের পরিচালককে স্বাস্থ্য অধিদফতর রাতারাতি অন্যত্র বদলী করে দেয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সরবরাহ করা এন-৯৫ মাস্কের লেবেলে দেখা গেছে, সাধারণ ইংরেজী শব্দের বানানও ভুল।
চিকিৎসকেরা বলছেন, বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ মাস্ক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ‘থ্রি-এম’ তারা তাদের পণ্যের গায়ে এমন ভুলসহ লেবেল ছাপাবে বলে মনে করেন না চিকিৎসকেরা। কারণ তারা দীর্ঘদিন মাস্ক উৎপাদন ও সরবরাহ করে আসছে। কোম্পানিটি এভাবে ইংরেজী বানান ভুল করে লিখতে পারে না।
হাসপাতালে কর্মরত এক চিকিৎসক বলেন, ‘থ্রি-এমের তৈরি আসল এন-৯৫ মাস্কের তুলনায় সরবারহ করা মাস্ক খুবই নিম্ন মানের। এটি তৈরির উপাদান ও কাঠামোও অন্যরকম, যা মানসম্মত নয়।’
চিকিৎসকরা বলছেন, ৭ দিন ব্যবহার করার জন্য চিকিৎসকদের পাঁচটি এন-৯৫ মাস্ক দেয়া হয়েছে। কয়েকটি মাস্ক আসল মনে হলেও বেশিরভাগই সুস্পষ্টভাবেই নকল। এন-৯৫ এর মতো উচ্চমানের পণ্যের গায়ে এই জাতীয় বানান ভুল সম্ভব নয় বলেও মনে করেন তারা।
জানা গেছে, হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয়কে মাস্ক ও পিপিই কেনা এবং সেগুলোর মান নিশ্চিত করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে মোবাইল ফোনে কল করার পরও পরিচালকের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।