তুরুস্কে কয়েকশো মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করছে এরদোগান
গত এক দশকের ভয়াবহ গৃহযুদ্ধে ছিন্নবিচ্ছিন্ন গোটা সিরিয়া। দামেশ, আলেপ্পো, গুতাসহ প্রায় সব শহরের একই চিত্র। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ইদলিবের। ইদলিবে যেন কেয়ামতের ধংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। গোটা প্রদেশই শরণার্থী শিবির। ইদলিববাসীর উদ্বাস্তু জীবনযাপন। শরণার্থী শিবিরে ভূমিষ্ট হওয়া বা বেড়ে উঠা শিশুরা বঞ্চিত শিক্ষার মানবিক অধিকার থেকে।
তবে সম্প্রতি ইদলিবের শরণার্থী শিবিরে কিছু মাদরাসা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে তুরস্কের মানবাধিকার সংস্থা আইএইচএইচ।
আইএইচএইচ জানিয়েছে, আশ্রয়কেন্দ্রের প্রতি ৬ শত ঘরের বিপরিতে একটি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করা হবে। যেখানে নুন্যতম ৭ শত এর বেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করতে পারবে।
সংস্থাটির চেয়ানম্যান সালিম তুসুন বলেন, মানবাধিকারের পাশাপাশি ইদলিবের শিশুরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। গোটা সিরিয়াতে বিশেষ করে ইদলিবে এমন একটি শ্রেণি গড়ে উঠছে যাদের অক্ষর জ্ঞানও নেই। যদিও কখনো ইদলিবের পরিস্থিতি স্বাভাবিকও হয় শিক্ষা-বঞ্চিত শ্রেণিটা ব্যাপক হতাশার মধ্যে পড়বে। পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষা না থাকলে ভবিষ্যতে এই শ্রেণির মাঝে ব্যাপকভাবে অনৈতিকা ছড়িয়ে পড়বে। তাই আমরা কিছু মাদরাসা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছি।
তুসুন জানান, কয়েকশত মাদরাসা প্রতিষ্ঠা প্রকল্পের কিছু মাদরাসায় ইতোমধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। বাকীগুলোর কাজ প্রক্রিয়াধীন।