Lead Newsদেশবাংলা

আমার স্ত্রী মাস্ক পরা থাকলে হয়তো মরতো না: স্বাস্থ্য সচিব

করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় ঘরের বাইরে ও অফিস-আদালতে মাস্কপরা বাধ্যতামূলক করে মন্ত্রণালয় থেকে পরিপত্র জারি করা হয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান বলেছেন, এটি নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে টাক্সফোর্স গঠন করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ এ ব্যাপারে কঠোর ভূমিকা পালন করবে। 

মাস্ক পরার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে স্বাস্থ্য সচিব বলেন, ‘আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যাই, সেখানে একজন নিকটাত্মীয়ের মাধ্যমে আমার স্ত্রী কোভিড আক্রান্ত হয়ে মারা যান। সেখানে ওই নারী এবং আমার স্ত্রী দু’জনই মাস্ক ছাড়া ছিলেন। যার কাছ থেকে আমার স্ত্রী সংক্রমিত হয়েছিলেন, তিনি এখন সুস্থ। তাই এখন আমার কাছে বার বার মনে হয় মাস্ক পরিহিত থাকলে হয়তো আমার স্ত্রীকে মরতে হতো না। আমরা মানুষকে সচেতন করছি। কোনো অবস্থাতেই ব্যর্থ হলে চলবে না। প্রয়োজনে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।

কিশোরগঞ্জে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়ের পর গতকাল শনিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য সচিব।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পরিবর্তনসহ একটি বিব্রতকর ও কঠিন সময়ে নতুন দায়িত্ব পেয়েছি। আশা করি সততা ও দেশপ্রেম নিয়ে এ দায়িত্ব পালন করতে পারবো।

জেলার হাসপাতালে ডাক্তার ও নার্স সংকটের সমাধান করা হবে উল্লেখ করে সচিব আবদুল মান্নান বলেন, সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করছে। গত তিন মাসে ১০ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তবে মাঠ প্রশাসনে পদায়নে সুষম বণ্টন হচ্ছে না বলে চিকিৎসক সংকট আছে।

জেলার বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে মানুষ যেন স্বাস্থ্যসেবা নিতে গিয়ে হয়রানির শিকার না হন, এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসক ও সিভিল সাজনকে নির্দেশ দেন তিনি।

পরে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন সচিব আবদুল মান্নান।

জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ, স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. মো. হাবিবুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, উপ-পরিচালক ডা. মো. হেলাল উদ্দিন, ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মো. হিবরুল বারী, জেলা বিএমএ-এর সাধারণ সম্পাদক ডা. আব্দুল ওয়াহাব বাদল প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × five =

Back to top button