মিসর থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের প্রথম চালান কার্গো উড়োজাহাজ যোগে ঢাকায় পৌঁছাবে আগামী মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর)। আজ শনিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। সূত্রটি জানায়, এস আলম গ্রুপ বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করছে, এটি তার প্রথম চালান। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য আমদানি কারকদের পেঁয়াজও কার্গো উড়োজাহাজ যোগে ঢাকায় পৌঁছাবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, উড়োজাহাজে পেঁয়াজ আনার প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ বাজারে সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
এ ছাড়া সমুদ্র পথে আমদানিকৃত পেঁয়াজের বড় চালান বাংলাদেশের পথে রয়েছে, যা শীঘ্রই বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে। এছাড়াও সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে টেকনাফ স্থলবন্দর, চট্রগ্রাম সমুদ্রবন্দরসহ বিভিন্ন স্থানে পেঁয়াজ পরিবহনে কয়েকদিনের জন্য সমস্যা হয়েছিল। কম সময়ের মধ্যে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ বাজারে চলে আসবে এবং মূল্য স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
দেশে পেঁয়াজের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে টিসিবি সরাসরি তুরস্ক থেকে, এস আলম গ্রুপ মিসর থেকে, বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আফগানিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে জরুরি ভিত্তিতে কার্গো উড়োজাহাজ যোগে পেঁয়াজ আমদানি করছে।
উল্লেখ্য, দাম কম ও সহজ পরিবহনের কারণে ভারত থেকে প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। ভারতের মহারাষ্ট্র ও অন্য এলাকায় বন্যার কারণে পেঁয়াজের ফলন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে কিছুদিন আগে রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারত প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইস (এমইপি) নির্ধারণ করে দেয়।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ভারত কর্তৃপক্ষ পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে দেয়। বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশ মিয়ানমার থেকে এলসি এবং বর্ডার ট্রেডের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছে। পাশাপাশি মিশর ও তুরস্ক থেকেও এলসির মাধ্যমে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করা হয়।