Lead Newsআন্তর্জাতিককরোনাভাইরাস

কোভিড-১৯ ওষুধে সাফল্য দেখিয়ে কোটিপতি যুক্তরাজ্যের ৩ অধ্যাপক

কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ‘বড় সাফল্য’ দেখিয়ে কোটিপতি হয়েছেন সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের তিন অধ্যাপক।

গত ২১ জুলাই তাদের ওষুধের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের ফল প্রকাশের সাথে সাথেই কোম্পানির শেয়ার ৫৪০ শতাংশ বেড়ে গেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।

পরীক্ষায় দেখা গেছে, ওই ওষুধটি শরীরে দেওয়ার পর গুরুতর অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা ৭৯ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রেই কম।

ওই তিন অধ্যাপক হলেন- রাতকো জুকানোভিক, স্টিফেন হলগেট এবং ডোনা ডেভিস। এখন থেকে প্রায় দুই দশক আগে তারা হাঁপানি ও দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুসের রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য ইন্টারফেরন বিটা নামে একটি ওষুধটি আবিষ্কার করেছিলেন। যা সাধারণ সর্দি জ্বরের চিকিৎসায় সহায়তা করে।

প্রতিস্থাপনে প্রোটিনের উপস্থিতি বাড়ানোর মাধ্যমে ভাইরাল সংক্রমণের বিরুদ্ধে রোগীদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কীভাবে উন্নতি করা যেতে পারে সে নিয়ে তারা কাজটি করেন।

ওই তিনজন মিলে, তাদের আবিষ্কারগুলোকে চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য সিনায়ারজেন নামে একটি কোম্পানি তৈরি করেছিলেন। ২০০৪ সালে কোম্পানিটির শেয়ার বাজারে ছাড়লেও এক চুক্তির পরে তাদের শেয়ারের দর কমে যায়।

তবে, করোনাভাইরাস মহামারি চলাকালীন শ্বাসকষ্টের জন্য কোনো সম্ভাব্য চিকিৎসায় অধ্যাপকদের আবিষ্কারকে করা ওষুধটি তাদের ‘গেম চেঞ্জার’ হিসেবে দেখা দেয়।

সিনায়ারজেনের প্রধান নির্বাহী রিচার্ড মার্সডেন বলেন, দীর্ঘস্থায়ী ব্রংকাইটিস বা এম্ফিজিমায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় ইন্টারফেরন বিটা ওষুধের ব্যবহার নিয়ে কোম্পানিটি বড় পরীক্ষা চালিয়েছে। তবে, করোনাভাইরাস মহামারি ছড়িয়ে পড়ায় পরে জানুয়ারিতেও আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের এ ওষুধটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’ তাই আমরা যুক্তরাজ্যে ভাইরাসটি আসার পরে ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে একটি ক্লিনিকাল ট্রায়ালের সিদ্ধান্ত নিই এবং আমরা এতে সফল হয়েছি, যোগ করেন তিনি। সম্প্রতি প্রকাশিত প্রাথমিক পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায় তাদের এসএনজি০০১ নামের ইন্টারফেরন বিটা ওষুধের ব্যবহারের ফলে সেরে ওঠার সম্ভাবনা দুই থেকে তিনগুণ বেশি।

১০১ জনের মধ্যে পরিচালিত এ গবেষণায় দেখা গেছে মারাত্মক রোগের ক্ষেত্রে ৭৯ শতাংশের শ্বাসকষ্ট কমেছে এবং অন্যদের ক্ষেত্রে তা কমার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য দাবি করছে প্রতিষ্ঠানটি।

শুক্রবার পর্যন্ত শেয়ার বাজারে সিনায়ারজেনের দাম ৩০০০ শতাংশেরও বেশি বেড়ে ২০৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। যা ফলে কোম্পানির পরিচালকদের ২ দশমিক ৬ শতাংশ শেয়ার মূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ মিলিয়ন ইউরোতে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 + seven =

Back to top button