কূটনীতিজাতীয়

দ. কোরিয়া জরুরি খাদ্য-ওষুধ সহায়তা দিল বাংলাদেশকে

করোনা (কোভিড-১৯) মহামারীর মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহায়তায় জন্যে জরুরি খাদ্য ও ওষুধ সহায়তা দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটির সহায়তা সংস্থা ‘কোরিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি’ (কোইকা)-এর মাধ্যমে এক হাজার ৮০০ প্যাকেজ এবং তিন হাজার ‘পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট’ (পিপিই) বিতরণ করা হয়েছে।

ঢাকায় দক্ষিণ কোরীয় দূতাবাস জানিয়েছে, রাজধানীর মুগদা এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশাপাশি ফ্রন্টলাইন নার্সদের মাঝেও এসব সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

এ উপলক্ষ্যে কাকরাইলে অবস্থিত এইচআর ভবনে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী, বাংলাদেশে নবনিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লী জেং-কিয়েন, বাংলাদেশে কোইকার কান্ট্রি ডিরেক্টর ইয়াং-আহ দোহ, নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ) মোহাম্মদ আব্দুল হাই উপস্থিত ছিলেন।

মহামারীর জরুরি পরিস্থিতির কারণে দক্ষিণ কোরিয়ার নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত লী জেং-কিয়েন রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করার আগেই এমন মানবিক কার্যক্রমে অংশ নিলেন।

তিনি বলেন, ‘আজকের সহায়তা হলো মহামারীর অভাবনীয় সংকটে বাংলাদেশের প্রতি সংহতি প্রকাশে কোরিয়ার অঙ্গীকারের অংশ’। কোইকার কান্ট্রি ডিরেক্টর ইয়ং আহ-দোহ বলেন, ‘কোভিড-১৯ বিরোধী লড়াইয়ে কোইকা বাংলাদেশের পাশে থাকবে। মহামারীর প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমর্থন দিয়ে যাবে’।

মহামারীতে আক্রান্ত মুগদা এলাকায় প্রান্তিক মানুষের মধ্যে খাদ্য ও স্যানিটারি সামগ্রির ১৮০০ প্যাকেট দেয়া হয়। এসব প্যাকেটে চাল, ডাল, সুজি, সয়াবিন তেল, চিনি, লবন, গুড়– দুধ, জীবাণু মুক্তকারী সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ফেস মাস্ক, লন্ড্রি সাবান এবং টুথ পেষ্ট দেয়া হয়। যেসব নার্স ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন তাদের জন্যে দেয়া হয় তিন হাজার পিপিই।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten + 3 =

Back to top button