আর একদিন পরই ঈদুল আজহা। রাজধানীতে গত ২৫ তারিখ থেকেই কোরবানির পশুর হাট বসেছে। হাটে ২২ তারিখেই পশু উঠানো শুরু হলেও আজ থেকেই শুরু হয়েছে বেচাকেনা। কাল শুক্রবার পুরোদমে বেচাকেনা চলবে বলে বিক্রেতারা আশা করছেন।
এবার রাজধানীর ডিএনসিসি এলাকায় ৬টি ও ডিএসসিসিতে ১১টি হাটের ইজারা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও সারাদেশে গরু কেনাবেচার জন্য রয়েছে এক হাজার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম।
উত্তরখান মৈনারটেক হাউজিং প্রকল্পের হাটে কুষ্টিয়া থেকে ২০টি গরু নিয়ে এসেছেন মোবারক হোসেন। তিনি জানান, প্রায় এক সপ্তাহে শুধু দুইটা গরু বিক্রি হয়েছে। আজ থেকে ক্রেতা বাড়ায় বাকি গরুগুলো বিক্রি হবে বলে আশা করছি।
হাটের দামের তুলনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, গরুগুলোর দাম গত বছর ১ লাখ থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার মধ্যে হলেও এবার দাম প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।
এদিকে এখন পর্যন্ত যারা কোরবানির গরু কিনেছেন তাদের অনেকেই বলেছেন, অন্য বছরের তুলনায় গরুর দাম এবার অনেকটাই কম।
হাটে আসা এক ক্রেতা জানান, গরুর দামাদামি চলছে। ব্যাপারীরা বেশি দাম চাইছেন বলে মনে হচ্ছে। হাটে পর্যাপ্ত গরু আছে। সুবিধা মতো পেলে একটা কিনে নেবো।
ডিএসসিসির মেরাদিয়া বাজার পশু হাটে সিরাজগঞ্জ থেকে ১০০টি ছাগল নিয়ে এসেছে রানা মণ্ডল। তিনি জানান, ৫ দিন ধরে হাটে আসছি। মাত্র ১২টি ছাগল বিক্রি হয়েছে, তাও প্রায় কেনা দামে। আজ ক্রেতা আসা শুরু করেছে। আশা করছি শুক্রবারের মধ্যে সব ছাগল বিক্রি হয়ে যাবে।
তবে হাটে এবার গরু, মহিষ ও ছাগলের বাইরে অন্য পশু তেমন দেখা যায়নি। হাটের মাইক থেকে বারবার ঘোষণা করা হচ্ছে, ১৫ বছরের নিচের কাউকে হাটে প্রবেশ না করার জন্য। মাস্ক ছাড়াও হাটে প্রবেশ না করার জন্য বলা হচ্ছে।
এদিকে শনির আখড়া পশুর হাটের ইজারাদার মো. কামরুজ্জামান বলেন, এখন পর্যন্ত বেচাবিক্রি খুবই কম। আশা করছি আজ ও কাল, দুদিনের কেনাবেচায় ইজারা মূল্য উঠবে। তিনি বলেন, আমরা নিয়ম মেনে হাট পরিচালনা করছি।