Lead Newsআইন ও বিচার

সিনহা হত্যা মামলা : চার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু

কক্সবাজারে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার চার আসামিকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

আজ শনিবার বিকেল ৩টার পর থেকে কক্সবাজার জেলা কারাগারের ফটকে মামলার আসামি সাময়িক বরখাস্ত হওয়া চার পুলিশ সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে র‍্যাবের তদন্তদল। তাদের দুদিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। 

অপরদিকে সাত দিন করে রিমান্ডে পাওয়া তিন আসামি টেকনাফ বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির বরখাস্ত হওয়া পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ এবং এসআই নন্দদুলাল রক্ষিতকে আগামীকাল রোববার র‌্যাব-১৫-এর হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে।

আজ বিকেলে কক্সবাজার র‌্যাব-১৫-এর উপ-অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান জেলগেটে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে ঘটনার ক্লু উদঘাটনের চেষ্টা করা হবে।’

কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার মোকাম্মেল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আজ দুপুর দেড়টার দিকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে মেজর সিনহা রাশেদ হত্যা মামলার রিমান্ড ও জিজ্ঞাসাবাদের আদেশপ্রাপ্ত সাত আসামির ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নথিপত্র জেলা কারাগারে পৌঁছেছে।’

‘ফলে কারাফটকে র‌্যাব সদস্যরা চার আসামিকে বিকেলে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন। আগামীকাল রোববার সাত দিনের রিমান্ডের আদেশপ্রাপ্ত আসামিদের র‌্যাব হেফাজতে নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে’, যোগ করেন জেল সুপার।

গত ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশ কর্মকর্তা লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনার বিচার চেয়ে গত বুধবার কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নয়জনকে  আসামি করে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস।

এর আগে গত ২ আগস্ট বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বরত পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ সবাইকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে নিয়ে যাওয়া হয়। আর ওসি প্রদীপকে গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম থেকে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ।

এরপর বৃহস্পতিবার শেষ বিকেলে ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকতসহ সাত সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। অপরদিকে বাদীপক্ষ তাদের আটক ও পরে রিমান্ডের আবেদন করেন। আদালত ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকত ও এসআই নন্দদুলালকে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করেন। আর বাকি চারজনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × one =

Back to top button