Lead Newsশিল্প ও বাণিজ্য

বৈশ্বিক মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির লক্ষণ

২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারিতে বিশ্ব যখন অর্থনৈতিক মন্দায় আবদ্ধ, সে সময়ে আসিয়ান ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে যে দুটি দেশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারবে তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের আসিয়ান ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক প্রধান অর্থনীতিবিদ এডওয়ার্ড লি ‘গ্লোবাল রিসার্চ ব্রিফিং ২০২০’ এর বাংলাদেশ অধিবেশন শেষে এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ অনুষ্ঠানে ব্যাংকের তিন শতাধিক গ্রাহক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগদান করেন।

এডওয়ার্ড লি উল্লেখ করেন, ইউরোজোন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মধ্যপ্রাচ্যের মতো মূল ব্যবসায়ীক অংশীদারদের ২০২০-২০২১ অর্থবছরে তীব্র সংকোচনের সম্ভাবনা থাকায় আংশিকভাবে প্রবৃদ্ধি হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সম্প্রতি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতিবিদরা বলছেন, অনিশ্চয়তা রয়ে গেলেও সবচেয়ে খারাপ সময় সম্ভবত শেষ হয়ে যাওয়ার পথে।

ব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতিবিদ সৌরভ আনন্দ তার উপস্থাপনায় বলেন, ‘আমরা অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতা এবং সেই সাথে রাজস্ব এবং আর্থিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহায়তার জন্য বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা সম্পর্কে সতর্কভাবে ইতিবাচক রয়েছি। ঋণের মাত্রা কম থাকায় গত ছয় মাসে ব্যয়ের ভারসাম্য উন্নত হয়েছে। স্থানীয়ের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারগুলোতে রপ্তানি এবং রেমিটেন্স মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে, মূলত আন্তর্জাতিক বাজারগুলোতে অর্থনৈতিক কার্যক্রমের বিপর্যয় থেকে মূল ঝুঁকির উদ্ভব হতে পারে।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলি রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

তিনি বলেন, কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের মানুষ, সরকার ও ব্যবসায়ীরা সর্বদা তাদের দৃঢ়তা দেখিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত আশাবাদী যে এ বৈশ্বিক দুর্যোগেও আমরা আরও বেশি দৃঢ়তা প্রদর্শন করব যার প্রমাণ ইতোমধ্যে প্রতিফলিত হচ্ছে। আমরা আশা করি ২০২১ সালের মধ্যে কোভিড-১৯ পরবর্তী ভি-শেপড পুনরুদ্ধার সম্ভবপর হবে এবং আবারও জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে।’

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসের এজাজ বিজয় বলেন, বাংলাদেশ এ বৈশ্বিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে অন্যান্য দেশের চেয়ে সুবিধাজনক অবস্থান থেকে, যার কারণগুলো হলো দেশের তুলনামূলকভাবে সীমিত বৈদেশিক এবং সামগ্রিক ঋণ ও পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বিবেচনায় শক্তিশালী ডেব্ট সার্ভিস ক্যাপাবিলিটি।

তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের মজবুত অর্থনৈতিক ভিত্তি এবং দেশের কর্মঠ মানুষের দৃঢ়তা কাজে লাগিয়ে আমাদের অর্থনৈতিক গতি পুনরায় ফিরিয়ে আনতে পারব এবং জাতির কাঙ্খিত সাফল্য অর্জন করব বলে আমি আশাবাদী।’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

9 + 4 =

Back to top button