শোবিজ

ভালোবাসার টানে যুদ্ধ করে কলকাতা এসেছি: মিথিলা

করোনার কারণে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সব ধরনের যোগাযোগ এখনো বন্ধ। আকাশপথ, রেলপথ, সড়কপথ—সবই বন্ধ। তারপর বিশেষ ব্যবস্থায় ভারতে থাকা স্বামী সৃজিত মুখার্জির কাছে গেলেন বাংলাদেশি অভিনয়শিল্পী মিথিলা।

মিথিলার ভাষায়, ভালোবাসার টানে একরকম ‘যুদ্ধ’ করে তাঁকে সেখানে যেতে হয়েছে। রোববার দুপুরে ভারত থেকে তেমনটাই জানালেন রাফিয়াত মিথিলা।

বাংলাদেশি অভিনয়শিল্পী মিথিলার সঙ্গে ভারতের পরিচালক সৃজিতের রেজিস্ট্রি বিয়ে হয় গত বছরের ৬ ডিসেম্বর। বিয়ের বিষয়টি শুরুতে তাঁরা দুজনেই গোপন রেখেছিলেন। এরপর কলকাতা শহরে এ বছরের ২৯ এপ্রিল বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এরপরই সৃজিত ‘কাকাবাবু’ সিরিজের তৃতীয় ছবির কাজে আফ্রিকা চলে যান। মিথিলা ফিরে যান বাংলাদেশে।

ঠিক ছিল সৃজিত দেশে ফিরলে আবার ভারতে আসবেন মিথিলা। কিন্তু সৃজিত দেশে ফেরার পর শুরু হয়ে যায় লকডাউন। তাই সাড়ে পাঁচ মাস দুজন দুজনের কাছ থেকে আলাদা ছিলেন। উপায় খুঁজছিলেন কীভাবে এক হওয়া যায়। শেষ পর্যন্ত দুই দেশের হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের আন্তরিক সহযোগিতায় মিথিলা ও সৃজিত একত্র হলেন।

করোনার এই সময়ে ভারতের স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার বিষয়টিকে মিথিলা যুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করলেন। প্রথম আলোকে আজ দুপুরে কলকাতা থেকে বললেন, ‘যুদ্ধ করে কলকাতা এসেছি। এখন তো কোনো ফ্লাইট চালু নেই। স্পেশাল অনুমতি নিয়ে এসেছি। আমার পরিবার যেহেতু এখানে, তাই স্পেশাল পারমিশন দিয়েছে।’

মিথিলা জানালেন, গত শনিবার সকালে বিমানে করে ঢাকা থেকে যশোর। এরপর যশোর থেকে সড়কপথে বেনাপোলে যান। সেখানে এসেছিলেন সৃজিত। তারপর বেনাপোল সীমান্তে আনুষ্ঠানিকতা সেরে সড়কপথে কলকাতায় স্বামীর বাড়িতে পৌঁছান।

মিথিলা বললেন, ‘বেনাপোল বর্ডার একদম খালি। এ সময়ে আমাকে কলকাতায় আসার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ও ভারতীয় হাইকমিশন কর্মকর্তাদের কাছে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। সীমান্তের এপার আর ওপারে অনেক সেলফি তুলেছি। এরপর বর্ডার থেকে বাসায় আসতে সাড়ে তিন ঘণ্টা সময় লেগেছে। খুব কষ্টকর একটা ভ্রমণ। আপাতত আর বাংলাদেশে যাওয়া হচ্ছে না, সবকিছু স্বাভাবিক হলে তবেই ফিরব।’
কলকাতায় সৃজিতের বাড়িতে ঢোকার সময় একটা বিষয় মিথিলাকে সারপ্রাইজ করেছে বলে জানালেন। বললেন, যে বাড়ির নেমপ্লেটে কয়েক মাস আগেও লেখা ছিল সৃজিত মুখার্জি, সেই বাড়িটির নেমপ্লেটে এখন সৃজিত মুখার্জি, রাফিয়াত রশিদ, আইরা তেহরীম খান লেখা। এটা ছিল দারুণ একটা সারপ্রাইজ।’ (প্রথম আলো)

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × 3 =

Back to top button