সেপ্টেম্বর থেকে আগের ভাড়ায় বাস চালানোর প্রস্তুতি মালিকদের
করোনাভাইরাস সংক্রমণ না কমলেও সেপ্টেম্বর থেকে সব আসন পূর্ণ করে বাস চালানোর পাশাপাশি আগের ভাড়ায় ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।
সংগঠনের মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বুধবার রাতে সংগঠনের এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
“আগের ভাড়ায় ফিরে আসার নানা দিক নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। যাত্রীরা চাচ্ছেন না অতিরিক্ত ভাড়া দিতে আর সরকারের পক্ষ থেকেও আমরা এ বিষয়ে পজিটিভ ইঙ্গিত পেয়েছি। সবকিছু বিবেচনা করে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে আসন পূর্ণ করে বাস চালানোর পাশাপাশি আগের ভাড়ায় ফিরে যেতে সবাই সম্মত হয়েছে।”
কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে কম যাত্রী তুলতে হবে বলে মালিকদের ক্ষতি পোষাতে গত ৩১ মে আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লা এবং নগর পরিবহনের বাস-মিনিবাসের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানায় সরকার। এরপর ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষে গত ১ জুন থেকে শর্তসাপেক্ষে বাস চলাচল শুরু হয়।
ভাড়া বাড়ানোর পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে একজন যাত্রীকে বাস ও মিনিবাসের পাশাপাশি দুটি আসনের একটি আসনে বসিয়ে অন্য আসনটি অবশ্যই ফাঁকা রাখতে বলা হয়েছিল।
স্বাস্থ্যবিধি অনুসারে শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব বজার রাখা এবং কোনোভাবেই সংশ্লিষ্ট মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে উল্লেখিত মোট আসন সংখ্যার অর্ধেকের বেশি যাত্রী বহন করা যাবে না এবং দাঁড়িয়ে কোনো যাত্রী বহন করা যাবে না বলে শর্ত ছিল।
প্রথমদিকে এসব শর্ত মানা হলেও ধীরে ধীরে শিথিলতা শুরু হয়। বর্তমানে অধিকাংশ গণপরিবহনেই স্বাস্থ্যবিধি না মানার অভিযোগ উঠছে।
এমন পরিস্থিতিতে গত ২০ অগাস্ট বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কার্যালয়ে এক বৈঠকে আসন পূর্ণ করে বাস চালানোর প্রস্তাব দেয় মালিক সমিতি। এ প্রস্তাব মানা হলে বাড়তি ভাড়া বাদ দিয়ে আগের ভাড়ায় ফেরার আশ্বাসও দেয় তারা।
ওই বৈঠকে বিআরটিএর চেয়ারম্যান বলেছিলেন, প্রস্তাবটি সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আসবে।
আসন পূর্ণ করে বাস চালানো হলে স্বাস্থ্যবিধি কিভাবে মানা হবে জানতে চাইলে খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন,“বাসে সিটের বেশি যাত্রী পরিবহন করা হবে না অর্থাৎ দাঁড়িয়ে যাত্রী পরিবহন করা হবে না। এছাড়া মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হবে এবং যতদূর সম্ভব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার চেষ্টা করা হবে।”
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আদেশ অনুযায়ী, কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধ এবং পরিস্থিতি উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার শর্তসাপেক্ষে সার্বিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার যে নির্দেশনা দিয়েছিল এবং জনসাধারণের চলাচলে যে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছিল, তা ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত থাকবে।