আরেকটি ৯/১১ ঠেকাতে পারেন ট্রাম্প: লাদেনের ভাতিজি
আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়েদার নিহত সাবেক নেতা ওসামা বিন লাদেনের ভাতিজি নুর বিন লাদেন।
আগামী ৩ নভেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এরই মধ্যে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট—দুই দলের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী নির্বাচনের মাঠ গরম করে চলেছেন। রিপাবলিকান প্রার্থী ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আর ডেমোক্র্যাট দলের জো বাইডেনকে তাঁদের তারকা সমর্থকরা সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন। এর ধারাবাহিকতায় ওসামা বিন লাদেনের ভাতিজি বর্তমান ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি তাঁর সমর্থন জানালেন।
সুইজারল্যান্ডে বসবাস করলেও ২০১৫ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইয়ের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই ট্রাম্পকে কড়া সমর্থন দিয়ে আসছেন নুর বিন লাদেন। নুরের মা সুইস লেখক কারমেন ডুফুর, বাবা সৌদি ধনাঢ্য পরিবারের ছেলে ইয়েসলাম বিন লাদেন। ১৯৮৮ সালে নুরের মা-বাবার বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর ২০০১ সালে ৯/১১ হামলার পর ২০০৪ সালে লাদেন পরিবার নিয়ে বই লিখে ব্যাপক খ্যাতি পান নুরের মা কারমেন।
সৌদি আরবের লাদেন পরিবারের সদস্য নুর বিন লাদেন বলেন, ‘জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ধরে নিতে হবে আরেকটি ৯/১১ দোরগোড়ায়। আরেকটি ৯/১১ ঠেকাতে পারবেন কেবল বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।’ গতকাল শনিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে সন্ত্রাসী জঙ্গিরা চারটি যাত্রীবাহী বিমান ছিনতাই করে। এর দুটি আঘাত করে নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ভবনে, একটি আঘাত করে ওয়াশিংটনের পেন্টাগনে এবং আরেকটি পেনসিলভানিয়ার একটি মাঠে বিধ্বস্ত হয়। সব মিলিয়ে প্রায় তিন হাজার লোক নিহত হয়। এ ঘটনায় শুরু থেকেই আল কায়েদা ও ওসামা বিন লাদেনকে দায়ী করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।
এই সন্ত্রাসী হামলাকে ঘিরে কিছু ‘ষড়যন্ত্র-তত্ত্ব’ চালু আছে। এগুলোর মধ্যে—যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এ হামলার পেছনে ছিল; ওই আক্রমণে কোনো ইহুদি মারা যায়নি; আসলে কোনো বিমান টুইন টাওয়ারে বা পেন্টাগনে আঘাত করেনি—এমন তত্ত্বগুলো বহুল আলোচিত। আরেকটি বড় তত্ত্ব হচ্ছে, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের দুটি টাওয়ার ধসে পড়েছিল উড়োজাহাজের আঘাতে নয়; বরং ভবনটির ভেতরে বিস্ফোরক বসিয়ে তা উড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। টুইন টাওয়ার হামলার ১৯ বছর পার হয়ে গেলেও এসব তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা-বিতর্ক শেষ হয়নি।