মসজিদে বিস্ফোরণে নিহত জুবায়েরের দাফনের আগেই বাবার মৃত্যু
ফতুল্লায় মসজিদে বিস্ফোরণে নিহত শিশু জুবায়েরের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছানোর পর জানাজা ও দাফনের প্রস্তুতি চলছিল। ঠিক এমন সময় খবর আসে, তার বাবা জুলহাসও মারা গেছেন। এ খবরে আহাজারিতে আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে ওঠে।
ছেলে জুবায়েরকে নিয়ে শুক্রবার এশার নামাজ আদায় করতে নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকার বাইতুস সালাম মসজিদে যান জুলহাস। সেখানে বিস্ফোরণের ঘটনায় বাবা ও ছেলে অগ্নিদগ্ধ হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুইজনকেই শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইউনিটে নেয়া হলে রাত ১টার দিকে ৭ বছরের শিশু জুবায়ের মারা যায়। তখন তার বাবার অবস্থাও ছিল আশঙ্কাজনক।
এদিকে জোবায়েরের মরদেহ তার মায়ের কাছে হস্তান্তরের পর রোববার ভোরে গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর বাহেরচর গ্রামে এসে পৌঁছায়। মরদেহ দাফননের প্রস্তুতিকালে খবর আসে, তার বাবা জুলহাসও মারা গেছেন।
সকালে বাড়ির উঠোনে স্বামী-সন্তানহারা রাহিমা বেগমকে মাটিতে লুটিয়ে বিলাপ করতে দেখা গেছে। একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলে ও নাতির শোকে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে আছেন জুলহাসের মা।
এ সময় আহাজারি করে রাহিমা বেগম বলছিলেন, স্বামী-ছেলে সব হারিয়েছে সে। তার আর কেউ রইল না।