করোনায় সুখবর ই-কমার্সে
কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ-কথাটি যেন সার্থকতা এসেছে এই করোনার সময়। বর্তমান পরিস্থিতিতে যখন দেশ-বিদেশে মূল অর্থনীতি যখন স্থবির ঠিক তখনেই যেন জমজমাট ই-কমার্স ব্যবসা। উদ্যোক্তারা বলছে, অর্ডার বেড়েছে, বিক্রি বেড়েছে যা স্বাভাবিকের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।
বিভিন্ন উদ্যোক্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিনিয়ত অনলাইন ব্যবসায় তারা যুক্ত করছেন নতুন নতুন আইটেম। গ্রোসারি পণ্য থেকে সব দ্রব্যের চাহিদা রয়েছে এই করোনার সময়ে। ক্রেতাদের চাহিদা থাকায় সব ধরনেরই পণ্য বিক্রি করছে শীর্ষস্থানীয় অনলাইন মার্কেট গুলো। এই সুযোগে দেওয়া হচ্ছে মূল্যছাড় ও আকর্ষণীয় অফার। ডিজিটাল মাধ্যমে পেমেন্ট পাচ্ছে ক্যাশব্যাক সুবিধা।
তবে গ্রাহকদের অসন্তুষ্টি বেড়েছে অনেক। তারা বলছে, অনলাইন কেনাকাটায় এখনো রয়েছে আস্থার সংকট। এ ব্যাপারে আজকের ডিল ডট কম-এর সিইও ফাহিম মাশরুর অবিরত-কে বলেন, এখন আমার কাছে সর্বোচ্চ যেটা মনে হয়, এখন ক্রেতাদের স্বার্থ সংরক্ষণ করাটাই মূল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেখা যাচ্ছে অনেক ক্ষেত্রেই ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছেন। ঠিকমতো সার্ভিসটা পাচ্ছেন না। এই বিষয়টা নিয়ে এখন থেকে অনেক সচেতন হতে হবে।
দেরিতে হলেও অনলাইন মাধ্যম গুলোকে সুনির্দিষ্ট কাঠামোর মধ্যে আনতে যাচ্ছে সরকার। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপার্সন মহিদুল ইসলাম বলেন, সব ধরনের অনলাইন ভিত্তিক সব ধরনের কার্যক্রম তদারকি আওতায় আনা হবে। যাদের কর্মকাণ্ড মনে হবে যে প্রতিযোগিতা বিরোধী, তাদের কর্মকাণ্ড বিশ্লেষণ করে আমাদের আইনে যা আছে সে ব্যবস্থা নিব।
এদিকে ই-কমার্স সংগঠন ই-ক্যাব বলছে, এই দেশে এখন পাঁচ শতাধিক ই-কমার্স ব্যবসা রয়েছে। এছাড়া আরও ফেসবুকেও ব্যবসা করছে। তাদের সংখ্যাও হাজার ছাড়িয়ে যাবে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, এই করোনা কালেও এই ব্যবসা বেচা কেনার পরিমাণ বাড়তে পারে ৮ হাজার কোটি টাকা।