আন্তর্জাতিক

পদত্যাগ করলেন চীনে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত

টানা তিন বছর দায়িত্ব পালনের পর চীনে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টেরি ব্র্যানস্টেড পদত্যাগ করছেন। সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এক ঘোষণায় এই রাষ্ট্রদূতের পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। খবর সিএনএনের।

সূত্র জানায়, পদত্যাগের বিষয়টি একেবারেই নিশ্চিত। আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই ব্রানস্ট্যাড বেইজিংয়ে নিজ দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেবেন। 

এমন সময়ে এ খবর জানা গেলো, যখন চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে বিরোধিতার সূত্রে তিক্ততায় রূপ নিয়েছে। এর আগে গত শুক্রবার চীন সরকার এক ঘোষনায় জানিয়েছিল, দেশটিতে অবস্থানকারী মার্কিন কূটনৈতিক এবং সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে তারা বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। কিন্তু, নিষেধাজ্ঞার সংজ্ঞা বা আওতা ঘোষণা করেনি বেইজিং। গত ৩ সেপ্টেম্বর একই রকম নিষেধাজ্ঞা চীনা কূটনৈতিকদের ওপর দিয়েছিল ওয়াশিংটন। চীনের সাম্প্রতিক ঘোষণা ছিল তারই পাল্টা প্রতিক্রিয়া মাত্র। 

এর আগে সোমবার দিনের শুরুতেই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এক টুইট বার্তায় ব্রানস্ট্যাডকে ‘আমেরিকান নাগরিকদের সেবায় তার সম্মানজনক দায়িত্ব পালনের’ জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সাধারণত কোনো ব্যক্তির অবসর বা দায়িত্ব অব্যাহতি নিশ্চিত হলেই এধরনের আনুষ্ঠানিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশের চল রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে।  

পম্পেও বলেন, ”চীন বিষয়ে দীর্ঘ কয়েক যুগের অভিজ্ঞতা থাকায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে দেশটিতে মার্কিন প্রশাসন এবং জনতার স্বার্থ সংরক্ষণে সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যক্তি হিসেবে মনোনয়ন দেন। খুবই গুরুত্বপূর্ণ এ কূটনৈতিক সম্পর্কে মার্কিন ভাবাদর্শ রক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তার কাঁধে।” 

তবে পম্পেও ব্রানস্ট্যাডের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার কারণ উল্লেখ করেননি। তার পরিবর্তে নতুন দায়িত্ব কাকে দেওয়া হবে- সে ব্যাপারেও স্পষ্ট কোনো ঘোষণা আসেনি।

২০১৬ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর, ওই বছরের ডিসেম্বরে ট্রাম্প বাছাই করে যেসব রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিয়েছিলেন তাদের মধ্যে ব্রানস্ট্যাড ছিলেন অন্যতম। 

আইওয়া রাজ্যের তৎকালীন গভর্ণর ব্রানস্ট্যাডকে জননীতি, বাণিজ্য এবং কৃষিখাতে তার ব্যাপক অভিজ্ঞতার কারণে চীনে রাষ্ট্রদূত মনোনীত করেছেন, বলে জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। এছাড়া, চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গেও তার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক আমলে নেওয়া হয়। ১৯৮৫ সাল থেকেই দ্বিপাক্ষিক সরকারি সফর এবং বৈঠকের সুবাদে জিনপিং- এর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ব্রানস্ট্যাডের। 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − 12 =

Back to top button