প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৫ তম অধিবেশনের সাইডলাইনে ভার্চুয়াল জীববৈচিত্র্য সম্মেলনে দেওয়া বিবৃতিতে বিনিয়োগের সময় ‘টেকসই ভবিষ্যৎ’ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে পৃথিবীকে রক্ষায় চার দফা প্রস্তাব পেশ করেন।
প্রথম প্রস্তাবে তিনি বলেন, ‘পৃথিবী এবং আমাদেরকে রক্ষার জন্য বিনিয়োগের সময় আমাদের টেকসই ভবিষ্যতের প্রতি মনোযোগী হতে হবে,’।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর দ্বিতীয় প্রস্তাবে বলেন, ‘শিক্ষাব্যবস্থা এবং গবেষণার মাধ্যমে জনগণের মধ্যে বৃহত্তর গণসচেতনতা সৃষ্টি এবং জাতীয় পর্যায়ে আইন-কানুন জোরদার করা এবং নিরীক্ষণ প্রক্রিয়া জীববৈচিত্র্য রক্ষার মূল পদক্ষেপ।’
তিনি তার তৃতীয় প্রস্তাবে উল্লেখ করেন ‘জেনেটিক রিসোর্স এবং ঐতিহ্যবাহী জ্ঞানের প্রকৃত মালিকদের জন্য বিশ্বব্যাপী সুফল বাটোয়ারায় প্রবেশাধিকার অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।’
চতুর্থ প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্যারিসের (সনদ) লক্ষ্য অর্জন আমাদের বিলুপ্তি এবং টিকে থাকার মধ্যে পার্থক্য তৈরি করতে পারে। আমাদের অবশ্যই সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।’
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা জলবায়ু পরিবর্তন ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষয়ক্ষতি আশংকাজনকভাবে বাড়িয়ে তুলছি এবং ফলস্বরূপ, কোভিড-১৯ এর মতো ‘জুনটিক’(প্রাণি থেকে মানুষে সংক্রমিত) রোগের ঝুঁকি বেড়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের বর্তমান ক্রিয়াকলাপ অব্যাহত রাখা হলে আমরা কেবল অন্যান্য প্রজাতির বিলুপ্তির কারণই হচ্ছি না, মূলত আমরা মানবজাতিরও চূড়ান্ত বিলুপ্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।’
জৈববৈচিত্র্য সম্পর্কিত কনভেনশন বাস্তবায়নের জন্য আইন-প্রণয়নকারী অল্প কয়েকটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। ‘আমাদের সংসদ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ বায়োলজিকাল ডাইভারসিটি অ্যাক্ট ২০১৭ পাস করেছে’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও খবর দেখুনঃ প্রকৃতি ও জলবায়ু – আজকের ভাইরাল নিউজ
Global Warming, Global Warming, Global Warming