চীনকে রুখতে চার দেশ একজোট
ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরে নৌ চলাচল ‘অবাধ ও স্বাধীন‘ রাখার উপায় খোঁজার যুক্তি দেখিয়ে ২০০৭ সালে ‘কোয়াড’ নামে সংলাপের সূচনা হয়েছিল ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে। সেই সংলাপের সূত্র ধরেই মঙ্গলবার (০৬ অক্টোবর) এই চার দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা থেকে টোকিওতে দু’দিনের বৈঠকে বসছেন।
চীনকে আটকাতেই যে এই জোটবদ্ধ উদ্যোগ, পরিষ্কার করে তা কখনই বলা হয়নি কখনই। এমনকি এসব বৈঠক নিয়ে এই চারটি দেশের সরকারগুলোর পক্ষ থেকে জনসমক্ষে যেসব ঘোষণা দেয়া হয়েছে বা যেসব নথিপত্র চালাচালি হয়েছে, তার কোথাও চীন শব্দটিই নেই। কিন্তু অনেক পর্যবেক্ষক মনে করছেন, টোকিও বৈঠকে তা বদলে যেতে পারে। কারণ যে দেশটি এই প্লাটফর্মকে প্রকাশ্যে ‘চীন-বিরোধী‘ তকমা দিতে সবচেয়ে বেশি কুণ্ঠিত ছিল, সেই ভারত তাদের অবস্থান অনেকটাই বদলে ফেলেছে।
এদিকে চীন তাদের প্রধান বৈরী এই চারটি দেশের মধ্যে এই বৈঠক নিয়ে যে একইসাথে উদ্বিগ্ন এবং ক্ষুব্ধ, তার ইঙ্গিত স্পষ্ট। বিবিসি বাংলা জানায়, মঙ্গল ও বুধবার টোকিওতে এই বৈঠক চলার সময় একই সঙ্গে তিন থেকে চারটি নৌ এবং বিমান মহড়ার ঘোষণা দিয়েছে বেইজিং।
যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা সংস্থা র্যান্ড কর্পোরেশনের সর্বসাম্প্রতিক এক প্রকাশনায় সাউথ ক্যারোলাইনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক ডেরেক গ্রসম্যাস লিখেছেন, পরিস্থিতি এখন অন্যরকম কারণ, তার মতে, এই চারটি দেশের সবগুলোই এখন চীনের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানের প্রশ্নে একমত।
তিনি বলেন, ২০০৭ সালে কোয়াড প্লাটফর্মকে একটি প্রতিরক্ষা জোটে রূপ দেওয়ার প্রচেষ্টা ভেস্তে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ ছিল চীনকে নিয়ে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার আড়ষ্টতা। চীনকে কতটা কোণঠাসা করা উচিৎ, তা নিয়ে এই দুই দেশের মধ্যে দ্বিধা ছিল। “কিন্তু এখন মনে হচ্ছে তারা সবাই একমত,“ লিখেছেন ডেরেক গ্রসম্যাস।
‘বিশেষ করে আমার সবসময় মনে হয়েছে, কোয়াডে ভারত ছিল উইক লিঙ্ক। কিন্তু ভারত মনে হয় তার অবস্থান বদলে ফেলছে, এখন মনে হচ্ছে চারটি দেশই চীনকে ঠেকানোর ব্যপারে একমত।’
আরও খবর পেতে দেখুনঃ ইতিহাসের ডায়েরী – আন্তর্জাতিক সংবাদ
China News, China News, China News