অবশেষে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড
অবশেষে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড করা হল; রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারি।
আইনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড রাখার পাশাপাশি আরও দুটি সংশোধনী আনা হচ্ছে। এর মধ্যে একটি হলো যৌতুকের ঘটনায় মারধরের ক্ষেত্রে (ধারা ১১-এর গ) সাধারণ জখম হলে তা আপসযোগ্য হবে। এ ছাড়া এই আইনের চিলড্রেন অ্যাক্ট-১৯৭৪-এর (ধারা ২০-এর ৭) পরিবর্তে শিশু আইন ২০১৩ প্রতিস্থাপিত হবে।
জাতীয় সংসদের অধিবেশন না থাকায় তা আজ অধ্যাদেশের মাধ্যমে কার্যকর করা হলো।
এর আগে, সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়ে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড আইনের সংশোধনীর খসড়ার অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সম্প্রতি নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের প্রতিবাদে দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। বিভিন্ন সমাবেশ থেকে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবি ওঠে। এরপরই আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নেয় সরকার।
আগের আইনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড। এখন সর্বোচ্চ শাস্তি হবে ‘মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড’।
ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের খসড়া গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত অনুমোদন পায়।
একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় দেশজুড়ে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার আন্দোলনের মধ্যে গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আইনি যাচাই (ভেটিং) সাপেক্ষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ওই খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া এক তরুণীকে তুলে নিয়ে সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে ধর্ষণ (২৫ সেপ্টেম্বর) এবং নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে আরেক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও ৪ অক্টোবর ভাইরাল হওয়ার পর সারা দেশে মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
সর্বশেষ প্রকাশিত খবর দেখুনঃ জাতীয় নিউজ – ধর্ম ও জীবন
Bd Approves Death Penalty, Bd Approves Death Penalty