মুক্তি পেলেন কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি
ভারত শাসিত কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিকে ১৪ মাস পর মুক্তি দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
গত বছরের ৫ আগস্ট কাশ্মীরের বিশেষ সুবিধা সংবলিত ৩৭০ ধারা বাতিলের পর সেখানকার বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে অনেক রাজনীতিবিদ, নেতাকর্মী ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মুফতিকেও বিনা বিচারে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিলো।
মুফতির মেয়ে ইলতিজা মুফতি এই আটকদাশের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি আপীল করার প্রেক্ষিতে মুক্তি পেলেন মুফতি।
জম্মু-কাশ্মীর পাবলিক সিকিউরিটি অ্যাক্ট অনুযায়ী যে কোনো মানুষকে বিনা বিচারে দুই বছর পর্যন্ত বন্দি রাখতে পারে। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই মেহবুবা মুফতিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরে গত বিধানসভা নির্বাচনের পরে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গঠন করেছিলেন মেহবুবা। সেই মেহবুবাকেই ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির পর আটক করা হয়। মঙ্গলবার রাত নয়টা ১৭ মিনিটে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি টুইট করে বলেন, মেহবুবাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
মুক্তি পাওয়ার পর মেহবুবাও একটি অডিও বার্তা টুইট করেন। তিনি বলেছেন, ‘এক বছরেরও বেশি সময় পরে আমি মুক্তি পেলাম। ২০১৯ সালের ৪ আগস্টের পর থেকে কাশ্মীরে কালো দিন চলছে, যা আমার আত্মাকে প্রতিনিয়ত লাঞ্ছনা করছে।
আমার বিশ্বাস জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষও একই রকম ভাবছেন। ওই দিন আমাদের যে অপমান করা হয়েছে তা ভুলতে পারব না।’ ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ হয়, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ দুইটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়।।’
এর আগে দীর্ঘদিন আটক থাকার পর ফারুখ আবদুল্লাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। মুক্তি পেয়েছেন তাঁর ছেলে এবং জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা।
তারপরেও মেহবুবাকে মুক্তি দেয়া হয়নি। তাঁর মেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই সর্বোচ্চ আদালত জানতে চায়, আর কতদিন মেহবুবাকে আটক করে রাখা হবে? সুপ্রিম কোর্টে সেই জবাবদিহি করতে হতো জম্মু ও কাশ্মীর এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে। তার আগেই তাঁকে মুক্তি দেয়া হলো।
সর্বশেষ খবর পেতে দেখুনঃ ধর্ম ও জীবন – জাতীয় নিউজ
Positive News Article, Positive News Article, Positive News Article