ঘুরে আসুন এশিয়ার সবচেয়ে সুন্দর গ্রামে
চারপাশটা সবুজে আচ্ছাদিত। কোথাও লতানো পাতাবাহার, কোথাও রঙিন ফুলের গাছ। ঝকঝক করছে রাস্তাঘাট। একবিন্দু ময়লা পড়ে নেই কোথাও। এতটাই পরিচ্ছন্ন যে গ্রামটির রাস্তায় জুতা পায়ে হাঁটতেও মায়া লাগে! বলছিলাম এশিয়ার সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন গ্রাম মাওলিননং এর কথা। এটির অবস্থান ভারতের মেঘালয়ে।
মাওলিননং ওয়ার্ল্ড ক্লিনেস্ট ভিলেজের স্বীকৃতি পায় ২০১৩ সালে। এই গ্রামের বাসিন্দারা যথেষ্ট সৌন্দর্য সচেতন। তারা সবসময় নিজেদের গ্রামকে পরিচ্ছন্ন রাখতে উদ্যোগী। ময়লা ফেলার জন্য সবাই ব্যবহার করেন বাঁশের তৈরি ডাস্টবিন। সেই বর্জ্য থেকেই সার উৎপন্ন হয়– যা চাষের কাজে লাগে।
মাওলিননং গেলেই মনে হবে এ যেন ফুলের গ্রাম! গ্রামটি জুড়ে নানারঙের ফুলের গাছ দেখে আপনি মুগ্ধ হয়ে যাবেন। সেখানকার ফুলগুলোকে উড়ে উড়ে পাহারা দেয় প্রজাপতি। গাছ থেকে ফুল তোলা একেবারেই নিষেধ। গ্রামবাসীদের পোশাক-আশাকও দেখার মতো সুন্দর। এই সৌন্দর্যের টানেই এখানে ছুটে যান পর্যটকরা। শিলং শহর থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে খাসিয়া সম্প্রদায়ের নিবাস মাওলিননং গ্রামটি। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের একেবারেই কাছাকাছি এই গ্রামে প্রতিদিনই আসেন অসংখ্য পর্যটক।
গ্রামবাসীরা পরিবেশ সচেতনতা থেকেই প্লাস্টিক ব্যবহার করেন না। মাওলিননং গ্রামটি এই সব কারণেই দেখার মতো। গ্রামটির বাসিন্দারা নিয়মিত বৃক্ষরোপণ করে থাকেন। এখানকার সব বাড়িই ঘিরে রেখেছে সবুজ। কোথাও কোথাও পর্যটকদের জন্য বসেছে ছোট দোকান। এখানে স্থানীয় অধিবাসীদের হাতে তৈরি বিভিন্ন পণ্য পাওয়া যায়। এখানে বেড়াতে গেলে অব্যশ্যই ঘুরে আসবেন ‘শেষের কবিতার দেশ’ শিলং থেকে, সূত্র ডেইলি বাংলাদেশ।
মাওলিননং ঘুরতে চাইলে আপনাকে ভিসা করাতে হবে ডাউকি দিয়ে। সিলেট নেমে তামাবিল বর্ডারে এসে প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ঢুকে পড়ুন মেঘালয়ে। চলে যেতে পারেন শিলং, ডাউকি কিংবা চেরাপুঞ্জিতে। মাওলিননং উচ্চ মানের থাকার ব্যবস্থা নেই। তবে খুব সম্প্রতি গড়ে উঠেছে হোম স্টে। সেখানেই রাত্রিবাস করতে পারেন, অথবা শিলং থাকতে পারেন।
আরো দেখুনঃ ভ্রমণ কাহিনী , এশিয়ার সবথেকে বড় গ্রাম
Tag: Bdnews24 Bangla Newspaper, Bangla Newspaper Bdnews24