র্যাবের আলোচিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমকে বদলি
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে বদলি করা হয়েছে। সোমবার (৯ নভেম্বর) রাতে যোগাযোগ করা হলে সারোয়ার আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বদলির বিষয়ে সারোয়ার আলম বলেন, নতুন দায়িত্বে যেন সফল হতে পারি এজন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, র্যাবে তো অনেক দিন হয়ে গেল। এটি নিয়মিত বদলিই।
র্যাবের একটি সূত্র জানায়, সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আলিয়া মেহের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে সারোয়ার আলমের এ বদলির আদেশ দেয়া হয়। তবে অন্যান্য বদলির আদেশ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেয়া হলেও এটি দেয়া হয়নি।
সারোয়ার আলম ২০১৫ সাল থেকে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি দুর্নীতিবিরোধী শুদ্ধি অভিযানের সময় সাহসী ভূমিকা রাখেন। এছাড়াও গেল পাঁচ বছরে অনেক অনিয়ম-প্রতারণার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। বিশেষ করে ভেজাল খাদ্য ও ভেজাল পণ্য উৎপাদনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন এ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম প্রথম আলোচনায় আসেন ২০১৪ সালে। ফার্মগেটে ওভারব্রিজকে তোয়াক্কা না করে যারা রাস্তা পারাপার হচ্ছিলেন তাদের নামমাত্র জরিমানা করে সচেতন করেছিলেন তিনি।
তার পরিচালিত অভিযানের মধ্যে অন্যতম হলো- ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ফকিরাপুলের ক্যাসিনোর আসরে অভিযান। সেপ্টেম্বরের ১৮ তারিখ ফকিরাপুলের ইয়ংমেনস ক্লাব, ওয়ান্ডারার্স ক্লাব ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদে অভিযান চালান তিনি। ১৪২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন। উদ্ধার করা হয় ক্যাসিনো থেকে উপার্জিত অবৈধ ২৪ লাখ ২৯ হাজার টাকা।
একই বছরের ২১ সেপ্টেম্বর নিকেতনে যুবলীগ নেতা জি কে শামীমের অফিসে অভিযানে যায় র্যাব। সেখানেও ছিলেন সারোয়ার আলম। অভিযানে জি কে শামীমের কার্যালয়ে তল্লাশি চালিয়ে অবৈধভাবে উপার্জিত নগদ এক কোটি ৮০ লাখ, ২০০ কোটি টাকার এফডিআর, বিদেশি ডলার, মদ ও অস্ত্র উদ্ধার করেন তিনি।
২০১৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার হাতিরপুলে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কোম্পানিকে নকল করে বাংলাদেশে উৎপাদনের কারখানায় হানা দেন সারোয়ার আলম। হাতেনাতে ধরে সিলভান ট্রেডিং কো. এবং টোটাল ফার্মাকে ৪০ লাখ টাকা জরিমানা ও ২ জনকে জেল দেন তিনি।