বহিরাগত বান্ধবী প্রবেশে বাধা দেয়ায় নিরাপত্তাকর্মীকে পেটালেন জাবি শিক্ষার্থী
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে প্রধান ফটকে দায়িত্বরত এক নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মারধরের শিকার সেই নিরাপত্তাকর্মী আমিনুর রহমান।
মারধরকারী ওই শিক্ষার্থী হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ৪৬তম আবর্তনের মির্জা সোহাগ। তিনি শহীদ রফিক জব্বার হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরারবর দেওয়া অভিযোগপত্রে আমিনুর রহমান বলেন, ‘প্রধান ফটকে দায়িত্বরত অবস্থায় বহিরাগত এক মেয়ে এসে আমার হাতে একটা ফোন ধরিয়ে দেয়। আমি তাকে সালাম দিলে ফোনের অপর প্রান্ত থেকে বলা হয় উনাকে ভিতরে যেতে দিতে। এ সময় আমি বলি বহিরাগত প্রবেশ নিষেধ। তাই আমাদের সজল স্যারকে ফোন দিতে। কিন্তু তিনি আমাকে হুমকি দিয়ে ফোন রেখে দেন। পরে কয়েকজনকে সাথে নিয়ে এসে আমাকে মারধর করেন। এক পর্যায়ে আমি ভয়ে রুমের ভিতরে ঢুকে যাই। কিন্তু তিনি আমোকে রুমের ভিতর থেকে বের করে এনেও মারতে থাকেন।’
তিনি আরো উল্লেখ করেন, “ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের এক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। স্যার বাধা দেয়ায় আমার জীবন রক্ষা পায়।”
এ বিষয়ে মারধরকারী শিক্ষার্থী সোহাগ বলেন, “তাকে আমি আমার বান্ধবীকে ভিতরে ঢুকতে দিতে বললে সে ঢুকতে দেয় নাই। তাই আমি সেখানে গিয়ে জানতে চাইলে তার সাথে আমার বাকবিতান্ডার এক পর্যায়ে আমি তাকে লাথি মারি। কিন্তু তাকে আমি মারার উদ্দেশ্যে লাথি মারি নাই। পরে ঘটনাস্থলে এক শিক্ষক আমাকে চলে যেতে বললে আমি চলে আসি।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বলেন, “আমি এখনো অভিযোগ পত্র পাইনি তবে বিষয়টা শুনেছি। অভিযোগ পত্র পেলেই এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো: জেফরুল হাসান চৌধুরি সজল বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। আমার নিরাপত্তাকর্মীর সাথে যা হয়েছে, আমরা এর সুষ্ঠ বিচার চাই।”