প্রতিদিন সন্ধ্যা নামলেই ভূতের ভয় তাড়া করে পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়ার চালিবাড়ী ডিহিপাড়া গ্রামের বাসিন্দাদের। এই ভয়ে একের পর এক গ্রাম ছাড়তে শুরু করে তারা। এ পরিস্থিতিতে এখন প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়েছে পুরো গ্রামটি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া শহর থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে চালিবাড়ী ডিহিপাড়া গ্রামের অবস্থান। গ্রামটিতে এক সময় ১৬ থেকে ১৭টি পরিবার বাস করতো। তাদের জীবন-জীবিকাও ছিল খুবই সাধারণ। কিন্তু এক রাতের ঘটনায় গ্রামটির পুরো চেহারা বদলে যায়।
প্রায় চার বছর আগের ঘটনা। ওই গ্রামে এক যুবক খুন হয়। এরপর থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যা নামলেই ভূতের আতঙ্ক তাড়া করতে থাকে গ্রামটির বাসিন্দাদের। দিনে দুপুরে লোকের বাড়িতে ঢিল পড়তে শুরু করে। রাতে শোনা যেতে থাকে প্রেতনীর কান্না। গভীর রাতে কারা যেন এসে এই গ্রামের বাসিন্দাদের দরজায় কড়া নেড়ে যেতে থাকে। অথচ দরজা খুললে দেখা যেত না কাউকেই। এসব ঘটনায় ভীত হয়ে ঘরবাড়ি ফেলে গ্রাম ছাড়তে থাকে একের পর এক পরিবার।
পরে প্রশাসনের উদ্যোগ ও আশ্বাসে দু-একটি পরিবার ফিরে আসলেও বাকিরা আর ফেরেনি। এদিকে যারা ফিরে এসেছেন তাদের মধ্যে এখনও আতঙ্ক বিরাজ করছে। আতঙ্ক নিয়েই গ্রামটিতে বসবাস করছে তারা।
ফিরে আসা পরিবারগুলোর দাবি, গ্রামটি ব্যাপারে প্রশাসনের দৃষ্টি রয়েছে। তবে আরেকটু উদ্যোগ নিলে বাকি পরিবারগুলোও ফিরে আসতে পারে। এদিকে ওই গ্রামে আজও বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি। রাস্তা-ঘাট কাঁচা, পাকা বাড়িও তেমন নেই। ধ্বংসস্তুপের মতো পড়ে আছে কয়েকটি বাড়ি। সবমিলিয়ে গ্রামটিতে এখনও ভূতুড়ে পরিবেশ বিরাজ করছে।