গোল্ডেন মনির ও তাঁর স্ত্রীর সম্পদের হিসাব চেয়ে দুদকের নোটিশ
রাজধানীর মেরুল বাড্ডা থেকে বিপুল অর্থ, অস্ত্র-মদ ও স্বর্ণসহ গ্রেপ্তার মনির হোসেন ওরফে ‘গোল্ডেন মনির’ এবং তাঁর স্ত্রী রওশন আক্তারের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে আগামী ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছকে দুজনকে সম্পদের হিসাব জমা দিতে বলা হয়েছে।
বিকেলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদক পরিচালক আকতার হোসেন আজাদ সই করা নোটিশে ‘গোল্ডেন মনির’ ও তাঁর স্ত্রীর নিজের এবং তাদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের স্বনামে/বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী দিতে বলা হয়েছে।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হলে অথবা মিথ্যা বিবরণী দাখিল করলে দুদক আইনে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তাতে বলা হয়েছে।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজধানীর মেরুল বাড্ডার একটি বাসায় গত ২০ নভেম্বর রাতে অভিযান চালিয়ে মনির হোসেন ওরফে ‘গোল্ডেন মনির’কে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। র্যাবের দাবি, নব্বইয়ের দশকে রাজধানীর গাউছিয়া মার্কেটে কাপড়ের দোকানে সেলসম্যান হিসেবে কাজ করতেন মনির। সেখান থেকে পর্যায়ক্রমে মালিক হয়েছেন এক হাজার ৫০ কোটি টাকার। তিনি ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে কাপড়, কসমেটিকস, ইলেকট্রনিকস পণ্য, কম্পিউটার সামগ্রী, মোবাইল, ঘড়িসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র বিদেশ থেকে দেশে আনতেন। এভাবে একপর্যায়ে তিনি স্বর্ণ চোরাকারবারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। বায়তুল মোকাররমে একটি জুয়েলারি দোকানও দেন। যে দোকানটি তাঁর চোরাকারবার করার কাজে লাগত। এভাবে মনির থেকে তিনি হয়ে ওঠেন গোল্ডেন মনির। এভাবে তিনি মোট এক হাজার ৫০ কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি।’
মনির রাজউকের কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছেন। ঢাকা শহরের ডিআইটি প্রজেক্ট, বাড্ডা, উত্তরা, নিকুঞ্জ ও কেরানিগঞ্জে তাঁর দুইশরও বেশি প্লট আছে।