বর্তমান সরকারের অবস্থা নড়বড়ে, একটু জোরে ধাক্কা দিলেই পড়ে যাবে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন,‘ সরকার এখন দেউলিয়া হয়ে গেছে। অর্থনৈতিক মন্দায় পড়ে তারা এখন রিকশাচালকের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করছে। সরকার পতন হওয়ার চূড়ান্ত পর্যায়ে এসেছে। এখন শুধু ধাক্কা দিলেই সরকার পতন সম্ভব।’
শনিবার ২৮ নভেম্বর মওলানা ভাসানীর স্মরণে রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাসানী অনুসারি পরিষদ, ছাত্র-যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদ, রাষ্ট্র চিন্তা ও গণসংহতি পরিষদের এক যৌথ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে ঘোষণা পত্র পাঠ করেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, বক্তব্য রাখেন ডাকসু’র সদ্য বিদায়ী ভিপি নুরুল হক নূর গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারি জোনায়েদ সাকি, শ্রমিক নেতা তাসলিমা খাতুন, রাষ্ট্র চিন্তার সদস্য হাসনাত কাইয়ুম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মো. আতাউল্লাহ, শ্রমিক অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, ভাসানী অনুসারী পরিষদের বীর মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন, একে এম রাকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, যাদের নিয়ে সরকার দেশ চালায়- তারা একেক জনে শত/ হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে। এটা পত্রপত্রিকার কথা নয়, এটা সরকারি মন্ত্রীর কথা। আমলারা তো লুট করবেই। কারণ, তারা রাতের আঁধারে জনগণের ভোট লুণ্ঠন করে এই সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। আমলারা এই লুটপাটকে তাদের প্রাপ্য বলেই মনে করে। তাই তাদের ব্যাপারে কখনও কোনো কথা হবে না।
মওলানা ভাসানী ও মুক্তিযুদ্ধের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল একটা স্বাধীন সার্বভৌম জনকল্যাণকর রাষ্ট্র। আজকে আপনার এই সংগ্রাম যদি অব্যাহত থাকে- বাংলাদেশের ওষুধের মূল্য ১৫ দিনের মধ্যে অর্ধেক হবে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আপনাদের বাড়ির কাছে পৌঁছবে। সবার কর্মসংস্থান হবে। জনগণের কাছে সরকার কইফত দিতে হবে। এককেন্দ্রীক সরকার কখনও মুক্তি আনতে পারে না। তবে তার জন্য আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে। মওলানা ভাসানীর সেই বাণী যতদিন পর্যন্ত সব মানুষের কাছে খাদ্য পৌঁছাবে না, ততদিন পর্যন্ত আমরা থামব না। কিছু লোক খাবে- বাকিরা খাবে না, তা হবে না।
