Lead Newsজাতীয়

ভাষানচরের পথে সহস্রাধিক রোহিঙ্গা

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ভাষানচর যাচ্ছেন।

শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) শুক্রবার সকাল সোয়া ১০টার পর চট্টগ্রামের বোট ক্লাব, আরআরবি ও কোস্টগার্ডের জেটি থেকে ভাষানচরের উদ্দেশ্যে একাধিক জাহাজ ছেড়ে যায়।

বিষয়টি চট্টগ্রামের নৌ-বাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এমকেজেড শামীম নিশ্চিত করেছেন।

লেফটেন্যান্ট কমান্ডার জানান, কক্সবাজারের উখিয়া থেকে নিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের প্রথম দলটি চট্টগ্রাম থেকে নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে। 
রোহিঙ্গাদের নিরাপদে এবং সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা দিয়ে ভাষানচরে স্থানান্তরের লক্ষ্যে কক্সবাজারের উখিয়া এবং চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় দুটি ট্রানজিট স্টেশন করা হয়েছে। চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ট্রানজিট হয়ে জাহাজযোগে এই রোহিঙ্গারা শুক্রবার থেকে দফায় দফায় রোহিঙ্গারা ভাষানচর পৌঁছাবেন। এর আগে বৃহস্পতিবার ২১টি বাসে প্রায় শতাধিক রোহিঙ্গা পরিবার উখিয়া থেকে চট্টগ্রাম ট্রানজিট স্টেশনে পৌঁছে। তাদের খাওয়া দাওয়াসহ যাবতীয় সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী।

এদিকে, স্বেচ্ছায় ভাষানচর যেতে আগ্রহী রোহিঙ্গা পরিবারের সদস্যরা বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কক্সবাজারের উখিয়া কলেজ মাঠের অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্পে চলে আসে। এরপর প্রথম ধাপে সর্বমোট ২১টি বাসযোগে এসব রোহিঙ্গা সদস্যদের চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বিএফ শাহিন কলেজ মাঠে অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। সেখান থেকে জাহাজযোগে তাদের ভাষানচরে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

রোহিঙ্গাদের জন্য অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্পে প্রয়োজনীয়  খাবার ও প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে নৌবাহিনী।

উল্লেখ্য, নোয়াখালী জেলার ভাষনচর দ্বীপটি রোহিঙ্গাদের বসবারের জন্য আধুনিক সুযোগ সুবিধা দিয়ে বাসস্থান তৈরি করা হয়েছে। সেখানে আধুনিক অবকাঠামো উন্নয়ন, বনায়ন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়াও রোহিঙ্গাদের জন্য আধুনিক বাসস্থান, বেসামরিক প্রশাসনের জন্য অফিস ও আবাসিক ভবন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় ভবন, হাসপাতাল, ক্লিনিক ও খেলার মাঠ গড়ে তোলা হয়েছে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য সেখানে মহিষ, ভেড়া, হাঁস, কবুতর পালন করা হচ্ছে। আবাদ করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি। পরীক্ষামূলকভাবে ধান চাষও করা হচ্ছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − 18 =

Back to top button