বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরঃ কুষ্টিয়ায় চার আসামির রিমান্ড মঞ্জুর
কুষ্টিয়া পৌরসভার উদ্যোগে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর মামলার আসামি দুই মাদ্রাসা ছাত্রের পাঁচ দিন এবং দুই শিক্ষকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গতকাল সোমবার দুই ছাত্রকে ১০ দিনের ও দুই শিক্ষককে সাত দিনের জন্য রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকালে শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এনামুল হক এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামিরা হলেন সরাসরি ভাঙচুরে জড়িত সন্দেহভাজন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর গোলাবাড়ি গ্রামের সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদ (২০) ও মিরপুর উপজেলার শিংপুর গ্রামের আবু বক্কর ওরফে মিঠুন (১৯) এবং শিক্ষক আল আমিন ও ইউসুফ আলী। তাঁরা কুষ্টিয়া শহরের জুগিয়া পশ্চিমপাড়ার ইবনে মাসউদ (রা.) মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র ও শিক্ষক। শিক্ষক আল আমিনের বাড়ি মিরপুর উপজেলার ধুবইল গ্রামে আর ইউসুফ আলীর বাড়ি পাবনার আমিনপুর থানার দিয়াড় বামুন্দি গ্রামে।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ নন্দী গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, আজ সকাল ১১টা ১০ মিনিটে আসামিদের আদালতে তোলা হয়। আদালতে তারা নিজেদেরকে নির্দোষ দাবি করেন।
গতকাল সোমবার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিমের আদালতে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। কিন্তু আসামিদের আইনজীবী না থাকায় রিমান্ড শুনানি একদিন পিছিয়ে মঙ্গলবার ধার্য করেন আদালত। আজ বিচারক রেজাউল করিম ছুটিতে থাকায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এনামুল হকের আদালতে রিমান্ডের শুনানি হয়।
গত শুক্রবার গভীর রাতে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ভিডিও ভাইরাল হয়।
আলোচিত এই মামলার আসামিদের গত রোববার গ্রেপ্তার করা হয়। এদিন চারজনের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন কুষ্টিয়া পৌরসভার সচিব কামাল উদ্দিন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুষ্টিয়া মডেল থানার পরিদর্শক নিশিকান্ত সরকার জানান, হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের বয়ানে উদ্বুদ্ধ হয়ে ও গ্রেপ্তার দুই শিক্ষকের দেওয়া সাহসে নাহিদ আর মিঠুন এই কাজ করেছে। কিন্তু এর পেছনে কারা জড়িত রয়েছে, কারো ইন্ধন রয়েছে কি না, থাকলে তাদের খুঁজে বের করতে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। তাই আসামিদের রিমান্ড আবেদন করা হয়।