প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি কোনও মানুষ আশ্রয়হীন থাকবে না। তার আলোকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশের অন্যান্য স্থানের ন্যায় খুলনার রূপসা ও তেরখাদা উপজেলার আশ্রয়হীন ১১২টি পরিবার নতুন ঘর পাচ্ছেন। এছাড়াও খুলনার অন্যান্য উপজেলায় এই কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
জানা যায়, রূপসা উপজেলার ৬টি স্পটে এক কোটি ২৩ লাখ ১২ হাজার টাকা ব্যয়ে ৭২ টি ঘর নির্মাণ হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় গত ৮ ডিসেম্বর আশ্রয়হীনদের এসব ঘরের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে নির্মাণ কাজের ৮০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। বেশির ভাগ আশ্রয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে আঠারো বাকী নদীর পড়ের মনোরম পরিবেশে।
ঘরগুলোর মধ্যে নৈহাটী ইউনিয়নের নেহালপুরে ২৪টি, ইলাইপুর একটি, টিএসবি ইউনিয়নের কাজদিয়া ভাংগারঘাটে ১৪টি, ঘাটভোগ ইউনিয়নের শিয়ালীতে ১১ টি, গোয়াড়ায় ৭টি, শ্রীফলতলার আলাইপুর ১১টি ও আইচগাতীর বাধালে ৪টি।
খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পিআইও এসব কাজ বাস্তবায়ন করছেন।
রূপসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরিন আক্তার বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, দেশে কোনও মানুষ গৃহহীন থাকবে না। সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মুজিববর্ষে শতভাগ গৃহহীন ও আশ্রয়হীন মানুষদের জমি ও ঘর প্রদানের প্রত্যয় নিয়ে আমরা রূপসা উপজেলায় প্রথম ধাপে ৭২টি ঘরের বরাদ্দ পেয়েছি। প্রতিটি ঘর নির্মাণ বাবদ এক লাখ ৭১ হাজার টাকা হিসেবে এক কোটি ২৩ লাখ ১২ হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে।
উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা (পিআইও) মো. আরিফ হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার গৃহহীন থাকবে না কেউ। তারই আলোকে রূপসা উপজেলায় ৭২ জন গৃহহীন ও ভূমিহীনের তালিকা প্রস্তুত করেছি এবং তারই আলোকে রূপসা উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে ঘরগুলো বাস্তবায়ন শুরু করেছি। ইতোমধ্যে কোনও কোনও স্পটে ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি আগামী ১৫ জানুয়ারীর মধ্যে সবগুলো ঘরের কাজ শেষ উপকার ভোগীদের হাতে চাবি হস্তান্তর করতে সক্ষম হবো।
ইউপি মেম্বর রবিউল ইসলাম ফকির বলেন, আমার ওয়ার্ডের আঠারো বাকী নদীর তীরের নেহালপুরে ২৪টি ঘরের কাজ খুব দ্রুততার সাথে চলছে। এই ঘরগুলো নির্মাণ হলে আমাদের নৈহাটী ইউনিয়নের ২৪টি পরিবার এখানে মাথাগোজার ঠাঁই পাবে।