জাতীয়

দাম বাড়ছে শুধু গরিবের চালের!

পেঁয়াজের মতো বেড়ে চলেছে চালের মূল্যও। সরকারি হিসাবেই গত এক মাসের ব্যবধানে প্রতিকেজি চালের দাম বেড়েছে ৪ টাকা। আর এ মূল্য বৃদ্ধিতে সবচেয়ে এগিয়ে আছে নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তদের মোটা ও মাঝারি মানের চালের দাম।

সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশ অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত এক মাসে সব ধরনের চালের মূল্য বেড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে মাঝারি ধরনের চালের মূল্য। গত এক মাসে এই চালের মূল্য বেড়েছে ৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

গত ৬ নভেম্বর মাঝারি ধরনের চালের প্রতিকেজির মূল্য ছিল ৪২ থেকে ৪৮ টাকা। আর এই মাসে অর্থাৎ শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) এই চাল প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৪৬ থেকে ৫২ টাকা। অর্থাৎ এক মাসে প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৪ টাকা।

টিসিবির হিসাব অনুযায়ী, একমাসে পাইজাম ও লতা (উত্তম মানের) চালের মূল্য বেড়েছে ৮ দশমিক ৫১ শতাংশ। পাইজাম ও লতা (সাধারণ মানের) চালের মূল্য বেড়েছে ৬ দশমিক ৮২ শতাংশ। নাজির ও মিনিকেট (উত্তম মানের) চালের মূল্য বেড়েছে ৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

নাজির ও মিনিকেট (সাধারণ মানের) চালের মূল্য বেড়েছে ৬ দশমিক ১৯ শতাংশ। সরু চালের মূল্য বেড়েছে ৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ। আর মাঝারি মানের চালের মূল্য বেড়েছে ৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

এ দিকে চালের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় সীমিত আয়ের মানুষের মধ্যে অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। রাজধানীর মালিবাগ বাজারে আসা এক ক্রেতা বলেন, জিনিসপত্রের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় সীমিত আয়ের মানুষের নানা ধরনের বিপদ মোকাবিলা করতে হয়। মূল্য বেড়ে যাওয়ায় পর থেকে আমরা পেঁয়াজ খাওয়া কমিয়ে দিয়েছি। এখন চালের মূল্যও বেড়ে যাচ্ছে। তাহলে ভাতও কম খেতে হবে।

তবে চাল নিয়ে কারও উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে সেচ ভবনে কৃষকদের বাজারজাত করা সবজির হাটের ‘কৃষকের বাজার’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে পর্যাপ্ত চাল রয়েছে। চালের বাজার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে।’

তিনি বলেন, ‘চালের মূল্য মোটেই বাড়ছে না, সরু চালের মূল্য কিছুটা বেড়েছে, তবে যেটা বেড়েছে সেটা গতবারের থেকে অনেক কম। যেটা কম ছিল সেটা বেড়েছে।’

তবে টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, এক মাসের ব্যবধানে সব ধরনের চালের মূল্য ৩ থেকে ৬ টাকা বেড়েছে। গত এক মাসে গরিব খেটে খাওয়া মানুষের মোটা চালের মূল্য বেড়েছে ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ। অর্থাৎ গত ৬ নভেম্বর প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা। আর গতকাল ৬ ডিসেম্বর সেই চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৪ টাকা থেকে ৪৬ টাকা।

চালের দাম বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে বাংলাদেশ রাইস মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাঈম মিয়া বলেন, প্রতিবছরই এই সময় চালের মূল্য একটু বাড়ে। মিনিকেট চালের মূল্য কিছুটা বেড়েছে।

তিনি বলেন, কিছু দিনের মধ্যেই নতুন চাল বাজার ঢুকবে। নতুন চাল আসার আগমুহূর্তে বাজার খানিকটা চড়া হয়। তবে, বাজারে চালের কোনো সংকট নেই। কাজেই এখন একটু বাড়লে অচিরেই আবার কমা শুরু হবে, সূত্র অধিকার।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

six + 3 =

Back to top button