টেকনাফের নয়াপাড়া রেজিষ্টার্ড শরণার্থী ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে হোস্ট কমিউনিটির দু’টি ঘর, কমিউনিটি সেন্টারসহ ৪৩৫টি পরিবারের সমন্বয়ে একটি ব্লক সম্পূর্ণ পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে।
ফায়ার সার্ভিসসহ উপস্থিত রোহিঙ্গাদের সহায়তায় সকাল নাগাদ আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। এই ঘটনায় কারও মৃত্যুর ঘটনা না ঘটলেও ১৫-২০জন নারী-পুরুষ আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
জানা যায়, (বৃহস্পতিবার) ১৪ জানুয়ারি রাত ১টা ৩০ এর দিকে টেকনাফ নয়াপাড়া রেজিষ্টার্ড শরণার্থী ক্যাম্পের ই-ব্লকে জনৈক বুইগ্গানীর ঘর থেকে আকস্মিক অগুনের সূত্রপাত হয়। প্রত্যেক বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার থাকার কারণে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং ঘণ্টার মধ্যে পুরো ব্লকে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস ইউনিটসহ রোহিঙ্গারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। দীর্ঘ চেষ্টার পর ভোরের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এই অগ্নিকাণ্ডে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-ব্লকের ৪৩২টি রোহিঙ্গা বসতির রোম, ১টি ইউএনএইচসিআরের কমিউনিটি সেন্টার এবং পাশ্ববর্তী ২টি স্থানীয় জনবসতির ঘরসহ ৪৩৫টি ঘর আগুনে পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে।
এছাড়া ভাসমান আরও কিছু ঝুপড়ি ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে বেশ কয়েকজন দাবি করেন। এই অগ্নিকাণ্ডে আগুনের উৎস সম্পর্কে কেউ নিশ্চিত হতে পারেনি তবে অনেকে ধারণা করছেন রোহিঙ্গাদের ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে।
এই ব্যাপারে নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের ক্যাম্প ইনচার্জ আব্দুল হান্নান জানান, মধ্যরাতে হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডে উপরোক্ত ক্ষয়ক্ষতির সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং অগ্নিকাণ্ডের উৎস সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়। এই অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে বলে তিনি অবহিত করেন।
এদিকে সকাল ১০টারদিকে কক্সবাজার ত্রাণ শরণার্থী ও পূর্ণবাসন বিষয়ক কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।
আরও খবর পেতে দেখুনঃ করোনার সর্বশেষ অবস্থা – মজাদার সব রান্নার টিপস
Rohingya Camp News, Rohingya Camp News