ক্রিকেটখেলাধুলা

মাহমুদউল্লাহ বাহিনীর ঝলক প্রস্তুতি ম্যাচে

করোনাকালে ১০ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছে টাইগাররা। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০ জানুয়ারি প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। তাই মূল সিরিজের আগে আজ বিকেএসপিতে নিজেদের পরখ করে নিতে গা গরমের ম্যাচে মাঠে নামেন তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা।

দল নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি দেখেছেন দুই নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন ও হাবিবুল বাশার। ওয়ানডের প্রাথমিক স্কোয়াডে থাকা খেলোয়াড়রা দুই দলে ভাগ হয়ে ৪০ ওভারের ম্যাচ খেলেছেন। দুই দলের নাম দেয়া হয় তামিম একাদশ ও মাহমুদউল্লাহ একাদশ। এমনকি তাদের দুজনকে দেয়া হয় অধিনায়কের দায়িত্ব। তবে এই গা গরমের ম্যাচে শেষ হাসি হেসেছে মাহমুদউল্লাহ বাহিনী।

প্রথমে ব্যাট করে তামিম একাদশ ৩৭.২ ওভারে অলআউট হয়ে যায় ১৬১ রানে। জবাবে ১৯ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেট খুইয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে মাহমুদউল্লাহ একাদশ। দলের হয়ে বেশ দাপটেই খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ, পেয়েছেন হাফসেঞ্চুরি। ৬৪ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৫১ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। এছাড়া ওপেনার নাঈম শেখের ব্যাট থেকে আসে ৪৩ রান। তবে বল হাতে ব্যর্থ হওয়া সাকিব ব্যাটিংয়েও কিছু করতে পারেননি। ওয়ানডাউনে নেমে রানআউট হওয়ার আগে ২৩ বলে করেছেন ৯ রান। উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম করেন ২৮ রান।

বিকেএসপিতে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন মাহমুদউল্লাহ। তবে ব্যাটিং করতে নেমে লিটন-সৌম্যদের নিয়ে গড়া তামিম একাদশের ব্যাটিং অর্ডার মুখ থুবড়ে পড়ে। তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলামের অসাধারণ বোলিংয়ের সামনে তারা কোমড় সোজা করে দাঁড়াতেই পারেনি। ব্যাট হাতে তামিম ও লিটন দাস চার ওভারে করেন ১০ রান। ১০ বলে ২ করে লিটন পঞ্চম ওভারে আউট হয়ে যান আল আমিন হোসেনের বলে। তামিম ও শান্ত দ্বিতীয় উইকেটে যোগ করেন ৪০ রান। চতুর্থ বোলার হিসেবে বল হাতে নিয়ে হাসান ফেরান দুজনকেই। তামিম ৪৩ বলে ২৮ করে ধরা পড়েন ইয়াসির আলি চৌধুরীর হাতে। ৩৫ বলে শান্ত করেন ২৭ রান। ৮৩ রানে ৪ উইকেট হারানো দলকে কিছুটা টানেন সৌম্য ও আফিফ। তাদের থামান আরেক বাঁ-হাতি বোলার শরিফুল। পাঁচে নেমে সৌম্য করেন ২ ছক্কায় ৪৬ বলে ২৪ রান। ছয়ে আফিফ স্বভাবসুলভ আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ৩ ছক্কায় করেন ৩২ বলে ৩৫। দুজনের ক্যাচই নেন মোসাদ্দেক হোসেন। এরপর ব্যাটসম্যানরা আসা-যাওয়ার মিছিল শুরু করেন। শেষ ৫ ব্যাটসম্যানের কেউ ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্ক। ফলে তামিম একাদশ গুটিয়ে যায় ৪০ ওভারের আগেই।

মাহমুদউল্লাহর দলের হয়ে সাকিব বোলিংয়ে সুবিধা করতে পারেননি। ৬ ওভারে ৩১ রান দিয়েও ছিলেন উইকেটশূন্য। তবে পেসার হাসান মাহমুদ ২১ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন। এছাড়া শরিফুল ইসলাম ও আল আমিন হোসেন ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।

জবাবে শুরুটা ভালোই করে মাহমুদউল্লাহ একাদশের নাঈম শেখ। তবে ব্যক্তিগত ৩ রানে আউট হন ইয়াসির আলি। সাকিব আউট হন ৯ রান করে। তবে মাহমুদউল্লাহর হাফসেঞ্চুরির সঙ্গে মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিম ২৮ রান করে ম্যাচ জেতানোয় রেখেছেন কার্যকর ভূমিকা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two + one =

Back to top button