চট্টগ্রাম বন্দরে তুরস্কের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের প্রচুর সুযোগ রয়েছে এবং তারা সেই সুযোগ গ্রহণে ক্রমেই আগ্রহী হয়ে উঠছেন। ঢাকায় তুর্কি দূতাবাসের এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে তুরস্কের দূতাবাস বলেছে, বাংলাদেশের ঐতিহাসিক প্রবেশদ্বার চট্টগ্রাম বন্দরে তুর্কি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগের প্রচুর সুযোগ রয়েছে। আশা করা হচ্ছে, তুরস্কের শীর্ষস্থানীয় এলপিজি সংস্থা আয়গাজ এএস প্রথমেই সুযোগটি নেবে।
গত ৯ জানুয়ারি থেকে ১২ জানুয়ারি বাংলাদেশে নিযুক্ত তুর্কি রাষ্ট্রদূত মুস্তফা ওসমান তুরানের চারদিনের চট্টগ্রাম সফর শেষে এ বিবৃতি দিল তুরস্ক।
সফরে চট্টগ্রামের বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তুর্কি রাষ্ট্রদূত। এদের মধ্যে রয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম আবুল কালাম আজাদ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দুবাশ, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম প্রমুখ।
সফরে তুরস্কের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী নেতা এবং সরকারি কর্মকর্তাও রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে তুর্কি দূতাবাস।
সফরকালে তুরস্কের প্রতিনিধি দলটি চট্টগ্রামে নবনির্মিত ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার পরিদর্শন করে। শহরটিতে অনুষ্ঠিতব্য বাণিজ্যমেলায় অংশীদার হওয়ারও আগ্রহ প্রকাশ করেছে তুরস্ক।
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মুস্তফা ওসমান তুরান বলেছেন, তুরস্কের বিনিয়োগকারীরা ক্রমেই বাংলাদেশের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছেন। দুই বছর আগে সিঙ্গার বাংলাদেশের বেশিরভাগ শেয়ার কিনে নিয়েছিল তুরস্কের অন্যতম গৃহস্থালী পণ্যের ব্র্যান্ড আরসেলিক। এবার বৃহৎ এলপিজি কোম্পানি আয়গাজ চট্টগ্রাম বন্দরে বিশাল বিনিয়োগের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
শিগগিরই তুরস্কের আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়বে বলে জানিয়েছেন তুর্কি রাষ্ট্রদূত। এর মধ্যে একটি হাসপাতালও রয়েছে।
আরও খবর পেতে দেখুনঃ সন্ধ্যা নামেলেই ভুতের ভয় – ইতিহাসের ডায়েরী
Bangladesh and Turkey News, Bangladesh and Turkey News