হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাকালীন আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মৃত্যুর পরপরই সংগঠনটির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এরপর জুনায়েদ বাবুনগরির নেতৃত্বে নতুন কমিটি ঘোষণার পর সামনে আসে আল্লামা শফীর ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যুর বিষয়টি। এমনকি এ নিয়ে মামলা পর্যন্ত দায়ের করা হয়েছে। তবে হেফাজতের পক্ষ থেকে বারবার এমন অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি যখন তদন্তাধীন তখন আজ শনিবার (১৬ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে একটি বিবৃতি পাঠিয়েছে হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমিরবৃন্দ। তারা আল্লামা শফীর ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যুর অভিযোগ নাকচ করে বলেন, একটি ‘দালাল গোষ্ঠি’ নিজেদের হীন স্বার্থ উদ্ধারে এমন অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য, কওমি অঙ্গনে যেন বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয়।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, হজরতের (আল্লাম শফী) মৃত্যু স্বাভাবিকভাবেই হয়েছিল এবং এটি একটি মীমাংসিত বিষয়। এমনকি হাসপাতাল থেকে যে ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়েছে সেখানেও মৃত্যুর কারণ ‘স্বাভাবিক’ উল্লেখ করা হয়। সেই সার্টিফিকেটে স্বাক্ষর আছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের। তারপরও গায়ের জোরে বারবার এই মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
আল্লামা শাহ আহমদ শফী
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর ‘আল্লামা শফীকে হত্যা করা হয়েছে’ অভিযোগ এনে চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এ একটি মামলা দায়ের করেন শফীর শ্যালক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন। মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে সম্প্রতি ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্য দিয়ে তোপের মুখে পড়া হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হককে। এছাড়া আরও ৩৫ জনকে আসামী করা হয়েছে এই হত্যা মামলায়।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করার দায়িত্ব দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)। ইতোমধ্যে তারা তদন্ত শুরু করে দিয়েছে।