‘দৈনিক ২ লাখ ডোজ করোনা ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে’
কোভিশিল্ড’ নাম দিয়ে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা কর্তৃক উদ্ভাবিত করোনার ভ্যাকসিন উৎপাদন করছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। এই টিকা নিতে সেরামের সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। চলতি জানুয়ারিতেই টিকার প্রথম চালান আসছে। এছাড়া দুই-একদিনের মধ্যে উপহার হিসেবে ভারত পাঠাচ্ছে ২০ লাখ ডোজ। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন, ফেব্রুয়ারির আগেই হয়তো টিকা প্রদান কর্মসূচি শুরু করা সম্ভব হবে। প্রতিদিন দেওয়া হবে ২ লাখ ডোজ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে করোনা ভ্যাকসিনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান। মন্ত্রী বলেন, আমরা সকল প্রস্তুতি শেষ করে অপেক্ষা করছি, তাই ভ্যাকসিন হাতে পেলে তা প্রয়োগ করতে মোটেও দেরি হবে না।
‘প্রতিদিন ২ লাখ ডোজ টিকা প্রয়োগের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কর্মসূচি শুরু হবে। প্রথম পর্যায়ে সিটি করপোরেশনগুলোর বাসিন্দাদের টিকা দেওয়া হবে।’
এ সময় কথা বলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এবিএম খুরশীদ আলমও। তিনি জানান, ২৯টি জেলায় টিকা সংরক্ষণের ‘ওয়াক ইন কুল’ রয়েছে। আরো ১৮টি জেলায় এই সংরক্ষণাগার তৈরি করা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রত্যেক জেলা-উপজেলায় থাকা হিমায়িত বাক্সে টিকা সংরক্ষণের ব্যবস্থায় (আইএলআর) টিকা রাখা হবে। এটি পরিবহন করা হবে আলাদা হিমায়িত বাক্সে।
‘এছাড়া তিনটি বিকল্প জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে, সেগুলো হলো- মহাখালীর টিকাদান কর্মসূচির প্রধান কার্যালয়, তেজগাঁওয়ে নিজস্ব সংরক্ষণাগার ও কেন্দ্রীয় ওষুধাগার।’ জানান অধ্যাপক এবিএম খুরশীদ আলম।