রাজনীতি

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার তৃতীয় কারাবন্দী দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি। এ সময় নেতা–কর্মীরা ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’ স্লোগান দিতে থাকেন।

সকাল সাড়ে ১০টা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকেন বিএনপি সমর্থকরা। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সমাবেশ শেষ হয়।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, মির্জা আব্বাস, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমসহ কেন্দ্রীয়, মহানগরী ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, খালেদা জিয়া আজ তিন বছর ধরে কারাগারে, আবার কখনো ‘গৃহবন্দী’। সরকারের ইচ্ছায় আদালত কর্তৃক শাস্তির নামে তাঁর সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে খালেদার মুক্তি দরকার। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল–জাজিরায় যা প্রকাশ করা হয়েছে, তা এমন দুর্নীতির এক শ ভাগের এক ভাগ। এসময় তিনি সরকারকে তথ্য প্রমাণ দিয়ে আল–জাজিরার খবর মিথ্য প্রমান করতে বলেন।

স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা শুরুতেই ক্ষমা চাই খালেদা ও তারেক রহমানের কাছে। কারণ, আমরা তাঁদের মুক্ত করতে পারি নাই। তবে চিরদিন তাঁরা বন্দী থাকবেন না। তাঁদের আমরা অবশ্যই মুক্ত করব।’

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবীবুন নবী খান সোহেল বলেন, ‘গত তিন বছর আগে যখন খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়, তখন “আওয়ামী গুন্ডা বাহিনী” দিয়ে ঢাকা ভরে ফেলা হয়েছিল। আমরাও রাজপথ ছাড়ি নাই।’

সমাবেশ ঘিরে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সকাল থেকেই প্রেসক্লাব ও এর আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে। এ সময় কয়েকজন নেতা–কর্মী অভিযোগ করেন, তাঁদের আটকের চেষ্টা হয়েছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়।

অসুস্থ রিজভী

সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সমাবেশে মাথা ঘুরে পড়ে যাচ্ছিলেন তিনি। পরে তাঁকে রাজধানীর কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নিয়ে যান বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম। জানা যায়, তাঁর ডায়াবেটিস বেড়ে গেছে, তাই তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরীক্ষা–নিরীক্ষা শেষে দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন রিজভী।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen + 17 =

Back to top button